Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Awas Yojna

আবাস তালিকায় দু’বার নাম তৃণমূল নেতার স্ত্রীর? ষড়যন্ত্র দেখছেন নদিয়ার পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ

আবাস তালিকায় দু’বার নাম রয়েছে তৃণমূল নেতার স্ত্রীর। নদিয়ার কৃষ্ণনগর ২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ ঘোষের বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ বিজেপির। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

নদিয়ার কৃষ্ণনগর ২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ ঘোষ।

নদিয়ার কৃষ্ণনগর ২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ ঘোষ। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:১৭
Share: Save:

আবাস তালিকায় ২ বার নাম রয়েছে এক তৃণমূল নেতার স্ত্রীর। নদিয়ার কৃষ্ণনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ ঘোষের বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ বিজেপির। গেরুয়াশিবিরের দাবি, তালিকায় ২ বার উপভোক্তা হিসাবে নাম রয়েছে সিদ্ধার্থের স্ত্রীর। অভিযোগ, প্রথম বার তাঁর বাবার ভাল নাম ব্যবহার করা হয়েছে এবং পরের বার দেওয়া হয়েছে তাঁর বাবার ডাকনাম। যদিও, বিজেপির তোলা ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিদ্ধার্থ। তাঁর দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাঁকে কালিমালিপ্ত করতেই এ সব করা হচ্ছে।

সিদ্ধার্থ ধুবুলিয়া-১ পঞ্চায়েতে‌র চৌগাছা হাঁসাডাঙার বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রীর নাম অপর্ণা ঘোষ। ওই পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য অশোক ঘোষের অভিযোগ, ‘‘পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ ঘোষের স্ত্রী অর্পণা ঘোষের নাম আবাস তালিকায় ২ বার এসেছে। ওঁর বাবার ভাল নাম দর্শন ঘোষ, ডাকনাম গ্যাঁড়া ঘোষ। আবাস তালিকায় ওঁর বাবার ভালনাম এবং ডাকনাম দুটোই রয়েছে। আমার এলাকা চৌগাছাতেই অর্পণার বাপের বাড়ি। সিদ্ধার্থের বাড়ি হাঁসাডাঙাতে‌। দুর্নীতির এর থেকে বড় প্রমাণ আর কী হতে পারে!’’

নাম বিতর্কে সিদ্ধার্থ যদিও জানিয়েছেন, তিনি এ সবের কিছু জানেন না। কোথাও আবেদনও করেননি। তাঁর কথায়, ‘‘তালিকা তো আমি তৈরি করিনি। যাঁরা তালিকা তৈরি করেছেন, এই দায় সেই আধিকারিকদের। আমি আজ পর্যন্ত কোথাও আবেদন করিনি। তবে আমার নাম কেন এল? এ তো ষড়যন্ত্র!’’ এলাকায় ৩ জন ‘অপর্ণা ঘোষ’ রয়েছে বলেও দাবি তাঁর। কৃষ্ণনগর-২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘সিদ্ধার্থ এই খবর শোনার পরেই তাঁর স্ত্রীর নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য দু’দফায় আবেদন জানিয়েছেন। তার পরেও তাঁর স্ত্রীর নাম তালিকায় রেখে পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে এক শ্রেণির লোকজন।’’

অপর্ণা অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর বাবার নাম একটাই, কোনও ডাকনাম নেই। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের পাকা বাড়ি ছিল না। তার নিরিখে আমাদের ঘর এসেছিল। পরে তালিকা থেকে নাম কাটানোর জন্য পাল্টা আবেদন হয়েছে। আমি জানিও না যে আমার নামে দু’টি ঘর এসেছে।’’

বিতর্কের কথা শুনে কৃষ্ণনগর-২ ব্লকের বিডিও অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, ‘‘সমীক্ষার কাজ এই জন্যই করা হচ্ছে যাতে কোনও অযোগ্য ব্যক্তির নাম না থাকে। ভুল থাকলে নিঃসন্দেহে তা সংশোধন করা হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Awas Yojna TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy