সেনপুরে শুয়ে পড়েছে ধান। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
বুলবুলের তাণ্ডবে গাছ-বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়া তো আছেই, সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে পড়শি জেলা উত্তর ২৪ পরগনায়। তবে কোনও প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও ঝড়ের ঝাপট এসে পড়েছে এ জেলাতেও। নদিয়ার উত্তর প্রান্ত সে ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও দক্ষিণ প্রান্তে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কোথাও কোথাও ঝড়ে ভেঙে পড়েছে কলাগাছ। কোথাও জলে ডুবে গিয়েছে মাঠভরা ফসল, পাকা ধান। চাষিদের আশঙ্কা, লাভ তো দূর, ক্ষতি সামলে চাষের লাভটুকু উঠবে কি না সন্দেহ।
সকাল থেকেই স্ত্রী-ছেলেকে সঙ্গে লঙ্কা তুলছিলেন চাকদহের হরিশপুরের বাসিন্দা বিকাশ ঘোষ। তিনি জানান, ১২ কাঠা জমিতে ‘বুলেট’ লঙ্কা লাগিয়েছিলেন। বৃষ্টির পর গাছে লঙ্কা থাকলে পচে যাবে। বাধ্য হয়ে লঙ্কা তুলে নিচ্ছেন। বিক্রি করে যদি কিছু পয়সা পাওয়া যায়। হরিশপুরেরই বাসিন্দা রাজু ঘোষ ১৫ কাঠা জমিতে শিম বুনেছিলেন। বাঁশ-পাটকাঠি দিয়ে মাচাও গড়েছিলেন। ঝড়ে সেই মাচা ভেঙে দিয়েছে। এ দিন সকালে এক প্রতিবেশীকে সঙ্গে নিয়ে সেই মাচা তোলার চেষ্টা করছিলেন তিনি। তিনি বলেন, “ভাল ফলন হয়েছিল। সবে বিক্রি শুরু হয়েছে। জলে পড়ে যাওয়া শিম সব পচে যাবে। লাভ তো দূরের কথা, এখন খরচ ওঠার সম্ভাবনা দেখছি না।” আমন ধান চাষ করেছিলেন সঞ্জীব ঘোষ। তিনি বলেন, “শীতের বৃষ্টি পড়লে আর রক্ষা নেই। সেই ধান সব নষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের এলাকায় অনেকের জমির ধান এখন জলের তলায় রয়েছে। সে সব নষ্ট হয়ে যাবে।” সান্যালচরের চাষি ফটিক প্রামাণিক, স্বপন প্রামাণিকেরা বলেন, “ঝড়ে কলা চাষের ভালই ক্ষতি হয়েছে। ফলন্ত গাছ ভেঙে পড়েছে। অনেক টাকার কলা নষ্ট হয়েছে।”
চাষিদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঝড়ে ক্ষতি হয়েছে কালীনারায়ণপুর, শিমুরালিতেও। যদিও জেলার কৃষি আধিকারিকদের দাবি, ঝড়ে তেমন ক্ষতি হয়নি জেলায়। আনাজের কিছুটা ক্ষতি হলেও পরিমাণে তেমন কিছু নয় বলে দাবি করেন জেলার কৃষি আধিকারিক রঞ্জন রায়চৌধুরী।
তিনি বলছেন, “তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে যা খবর আছে তাতে তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। আনাজেরও ক্ষতি তেমন কিছু হয়নি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy