ধুলিয়ান, শমসেরগঞ্জে যা হয়েছে তা মোটেই কাম্য নয়। কিছু মানুষ চাইছে, এটা হিন্দু-মুসলিম ইস্যু তৈরি হোক। সামনে ভোট আছে। সেই ভোটে যাতে তাদের লাভ হয়। এটা হতে দেওয়া যাবে না। এই কথা সবাইকে পৌঁছে দিন। এই ধরনের হাহাহানি ইসলাম কখনওই পছন্দ করে না।
সংখ্যালঘু মানুষ, যেখানে যে সম্প্রদায়ের মানুষই হোক না কেন, যে কোনও রাষ্ট্র হোক না কেন, তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সংখ্যাগুরুর উপরে বর্তায়। তাই যে সম্প্রদায়ের সংখ্যাগুরু হোন না কেন, সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা করুন।
সংশোধিত ওয়াকফ আইনকে আমরা কালো আইন হিসেবে মনে করছি। মনে রাখতে হবে এই আইনের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন করছি, তা হিন্দুদের বিরুদ্ধে নয়, প্রশাসনের বিরুদ্ধে নয়—কেন্দ্রের যে ফ্যাসিস্ট মোদি সরকার আছে, সেই সরকার ওয়াকফ আইন সংশোধন করে মুসলিম সম্প্রদায়ের সম্পত্তি কেড়ে নেওয়ার যে নীতি নিয়েছে, তার বিরুদ্ধে। এই সংগ্রাম দীর্ঘস্থায়ী করতে হবে সেটাও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে।
আমরা ইমামদের বলেছি যোগ্য নেতৃত্বের অধীনে থেকে সুশৃঙ্খল ভাবে আন্দোলন করতে হবে। ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ, শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষকে সঙ্গে নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করতে হবে।
কোনও রকম গুজবে কান দেবেন না।
কিছু মানুষ থাকে তারা যে কোনও ধর্মের হোক না কেন, তারা দুষ্কৃতী। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে সংঘর্ষ লাগিয়ে দোকানপাট লুট করা, সম্পত্তি নষ্ট করা। এদের সঙ্গে কোনও ধর্মের কোনও সম্পর্ক নেই। সৌভ্রাতৃত্ববোধ, ভালবাসা যত মজবুত হবে ততই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইটা মজবুত হবে। আমরা ইমামদের নিয়ে গণ্ডগোল আটকানোর চেষ্টা করেছি। সকলে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)