Advertisement
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Bhabani Bhawan

ভোটের জন্য বদলি, কেন এখনও ফেরানো হচ্ছে না? প্রশ্ন নিয়ে ভবানী ভবনে বহু পুলিশকর্মীর পরিবার

শুক্রবার সকাল থেকেই ভবানী ভবনে রাজ্য পুলিশের সদর দফতরের সামনে অপেক্ষা করছেন বহু মানুষ। কেউ কেউ এসেছেন মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম থেকে। তাঁদের দাবি, ডিজির সঙ্গে দেখা না করে এখান থেকে নড়বেন না।

ভবানী ভবনের সামনে বিক্ষুদ্ধ পরিজনদের ভিড়।

ভবানী ভবনের সামনে বিক্ষুদ্ধ পরিজনদের ভিড়। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:২৬
Share: Save:

নির্বাচনের সময় যে সকল পুলিশকর্মীকে অন্যান্য জেলায় বদলি করা হয়েছিল, তাঁদের পুনরায় জেলায় ফিরিয়ে না আনার দাবিতে ভবানী ভবনে রাজ্য পুলিশের সদর দফতরে গেলেন পুলিশকর্মীদের স্ত্রী ও পরিজনেরা। শুক্রবার সকালে ভবানী ভবনের সামনে দেখা গেল এমনই বহু মানুষের ভিড়।

শুক্রবার সকাল থেকেই ভবানী ভবনে রাজ্য পুলিশের সদর দফতরের সামনে অপেক্ষা করছেন পুলিশকর্মীদের পরিজনেরা। কেউ কেউ এসেছেন মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম থেকে। এমনই এক পিতা শিখণ্ডী দাস বলছেন, ‘‘আমার ছেলে কালিয়াচকে এসআই পদে কর্মরত। গত লোকসভা ভোটের সময় তাকে দার্জিলিঙে বদলি করা হয়। বাড়িতে আমার পুত্রবধূ সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আমার বয়স ৭৩। আমি হৃদ্‌‌রোগে আক্রান্ত। এই অবস্থায় সংসার চালাতে পারছি না। সিআইডির কাছে অনুরোধ, ছেলেকে পুনরায় মালদহ জেলায় ফেরত পাঠানো হোক।’’ বীরভূমের আর এক পুলিশকর্মীর স্ত্রী সোমা ঘোষাল বলছেন, ‘‘আমর স্বামী সিউড়িতে সাবইন্সপেক্টর হিসাবে কর্মরত। পরিবারের আরও অনেকেই একই পদে রয়েছেন। প্রতি বারের মতো এ বারও লোকসভা নির্বাচনের সময় তাঁদের অন্যান্য জেলায় বদলি করা হয়। ভোটের পর সাড়ে তিন মাস পেরিয়ে গেল, কিন্তু এখনও তাঁদের নিজের জেলায় ফেরানো হয়নি। তাই আমরা সব পরিবার মিলে ডিজি সাহেবের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি।’’

ওই পুলিশকর্মীদের পরিজনেরা এর পর কথা বলতে আলিপুর থানায় ঢোকেন। ভবানী ভবনের উল্টো দিকেই রয়েছে আলিপুর থানা। সেখান থেকে ওঁদের বলা হয়েছে, সমস্ত অভিযোগ পিটিশন আকারে লিখিত ভাবে জমা করতে। পরবর্তী নির্দেশ আসার পর তাঁদের নির্দিষ্ট দিনে ফের ডেকে পাঠানো হবে। তবে এতে খুশি নয় পুলিশকর্মীদের পরিবার। তাঁরা বলছেন, ডিজির সঙ্গে দেখা না করে তাঁরা এখান থেকে নড়বেন না। তাই আলিপুর থানা থেকে বেরিয়ে ফের ভবানী ভবনের সামনে অপেক্ষা করছেন শিখণ্ডী, সোমা, তনিমা ঘোষালেরা। তনিমা বললেন, ‘‘সকলে সমস্যা নিয়েই দূরদূরান্ত থেকে এসেছে। স্যরের সঙ্গে দেখা না করে আমরা আজ এখান থেকে যাব না। যত ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়, করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE