চাকদহের শিমুরালিতে বিজেপি নেতা মুকুল রায়। নিজস্ব চিত্র।
দলে যোগদান পর্ব ভেস্তে যাওয়ায় মঞ্চ থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। এর জন্য স্থানীয় নেতৃত্বের ব্যর্থতাকে দায়ী করে তিনি বলেন, “ওদের কথায় ভালবেসে আমি এখানে এসেছি। কেউ বিশ্বাসের অমর্যাদা করলে আমি ভাল ভাবে নিই না। যোগদান হচ্ছে না জানতে পারলে আমি এই সভায় আসতাম না।”
কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের মামলায় চার্জশিটে অভিযুক্ত হওয়ার পরে এই প্রথম নদিয়ায় এলেন মুকুল। আগামী ১৫ জানুয়ারি রানাঘাট আদালতে তাঁকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এ দিন সব কিছু ঠিকঠাক চললে পরিস্থিতি হয়তো কিছুটা স্বাভাবিক হত। কিন্তু তা হল না।
মঙ্গলবার বিকালে চাকদহের শিমুরালি মনসাপোতার মাঠে বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ জেলা তফসিলি মোর্চার এই সভায় অনেকে তৃণমূল থেকে যোগদান করবেন বলে আগাম জানানো হয়েছিল। কেউই আসেননি। তফসিলি মোর্চার জেলা সভাপতি তারক সরকারের দাবি, “পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সহ বিভিন্ন স্তরের চোদ্দশোর মতো তৃণমূল কর্মীর আমাদের দলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কিছু দিন আগে তৃণমুল থেকে আমাদের দলে আসা স্থানীয় বিজেপি নেতারা এ ব্যাপারে আপত্তি জানানোয় এ দিনের মতো যোগদান পর্ব বাতিল করা হয়েছে। আগামী দিনে হয়তো ওঁদের দলে নেওয়া হবে।”
মুকুল এ দিন দাবি করেন, “আমি রাজনীতিটা খুব একটা খারাপ বুঝি না। গত লোকসভার নির্বাচনের সময়ে বলেছিলাম, আমরা ২০-২২টা আসন পাব। ১৮টা পেয়েছি। অল্পের জন্য আরামবাগ এবং মালদহে জিততে পারিনি। আমি বলে যাচ্ছি, বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল একশো আসন পাবে না, যতই ওরা সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরুর হিসাব কষুক।”
মুকুল এলেও রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে এ দিন সভায় দেখা যায়নি। তাঁর অনুগামীদের ক্ষোভ, জগন্নাথকে কার্যত বাদ দিয়ে সভা করা হয়েছে। কোনও ব্যানারে তাঁর নাম ছিল না। সেই কারণে তিনি আসেননি এবং সভায় লোকও অনেক কম হয়েছে। তবে জগন্নাথ বলেন, “অন্য জায়গায় আমার কর্মসূচি ছিল। গত রাতে আমাকে জানানো হয়েছে। সেই কারণেই যেতে পারিনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy