পুরসভায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের জন্য পরীক্ষা ও যাবতীয় আয়োজনের জন্য বরাত পেয়েছিল অয়ন শীলের সংস্থা। — ফাইল চিত্র।
নদিয়া জেলার তিন পুরসভায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের জন্য পরীক্ষা ও যাবতীয় আয়োজনের জন্য বরাত পেয়েছিল অয়ন শীলের সংস্থা। ফলে তিনি গ্রেফতার হতেই রানাঘাট, বীরনগর ও কৃষ্ণনগর পুরসভার কর্মী নিয়োগ নিয়ে বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কৃষ্ণনগরে কর্মী নিয়োগের পরীক্ষার ২৫ হাজার ‘ওএমআর শিট’ গায়েব হয়ে যাওয়া ইতিমধ্যেই চর্চার বিষয়। ইতিমধ্যে তথ্য জানার অধিকার (আরটিআই) আইনে একাধিক আবেদনও হয়েছে। এ বার রানাঘাটও সন্দেহের আওতায় চলে এল।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ ও ২০১৯ সালে রানাঘাট পুরসভায় কর্মী নিয়োগের জন্য অয়ন শীলের সংস্থা বরাত দেওয়া পেয়েছিল। এর আগে ২০১৬ সালে বীরনগর ও কৃষ্ণনগর পুরসভাতেও কর্মী নিয়োগের জন্য বরাত পেয়েছিল ওই সংস্থা। শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিভিন্ন সংবাদপত্র এবং পুরসভার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। সেই বিজ্ঞাপন দেখে হাজার হাজার পরীক্ষার্থী আবেদন করেন ও পরীক্ষা দেন। পরীক্ষা পরিচালনার বিভিন্ন কাজ, অ্যাডমিট কার্ড তৈরি, আবেদনকারীদের কাছে অ্যাডমিট কার্ড পৌঁছে দেওয়া, ওএমআর শিট তৈরির মতো বিভিন্ন কাজ করেছে অয়নের সংস্থা। নিয়োগ কমিটিতে জেলাশাসকের প্রতিনিধি ও কয়েক জন পুরপ্রতিনিধি, ডিরেক্টর অব লোকাল বডির প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে লিখিত পরীক্ষার পাঁচের মধ্যে এক (১ : ৫) অনুপাতে পরীক্ষার্থীদের ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল।
রানাঘাট পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে ৬৬টি শূন্যপদের জন্য পরীক্ষা হয়েছিল। ঘটনাচক্রে, যে ৬৬ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে তাঁরা প্রত্যেকে পুরসভার অস্থায়ী কর্মী ছিলেন কিংবা দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করতেন। ২০১৯ সালে ৩৪টি শূন্যপদের নিয়োগের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে।
ওই সময়ে রানাঘাটের পুরপ্রধান ছিলেন পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়। তখন তিনি তৃণমূলে। পরে বিজেপিতে যোগ দিয়ে বর্তমানে তিনি নদিয়া দক্ষিণ বিজেপির সংগঠনিক জেলা সভাপতি ও রানাঘাট উত্তর-পশ্চিমের বিধায়ক।
হাজার হাজার আবেদনকারী পুরসভার শূন্যপদের জন্য পরীক্ষা দিলেও কেবল পুরসভার অস্থায়ী ও দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীরাই কী ভাবে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন? পার্থসারথীর দাবি, “অনেক দিনের ব্যাপার, এখন মনে নেই। তবে তখন যা করেছি, সরকারি নিয়ম মেনেই হয়েছে। জেলাশাসকের প্রতিনিধি, মহকুমা শাসকের প্রতিনিধিও ছিলেন। তা ছাড়া পুরসভা থেকে যে নিয়োগ কমিটি করা হয়, তাতে বর্তমান পুরপ্রধান ছিলেন।” বর্তমান পুরপ্রধান, তৃণমূলের কোশলদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “ইন্টারভিউ কমিটিতে আমি ছিলাম। লিখিত পরীক্ষায় যাঁরা উত্তীর্ণ হয়েছিলেন, তাঁদেরই ইন্টারভিউতে ডাকা হয়েছিল।” ২০১৬ সালে বীরনগর পুরসভাতেও ২৬টি শূন্য পদে নিয়োগ হয়েছিল। পুরপ্রধান পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “নিয়োগে যাবতীয় নথিপত্র মঙ্গলবার রাখা আছে। সব কিছু নিয়ম মেনেই করা হয়েছিল।”
(সহ প্রতিবেদন: সম্রাট চন্দ)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy