ভোটের আগে জেঠিয়া গ্রামে বহু বাড়িতে সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছিল হুমকি-পোস্টার। গ্রামের মধ্যে পুকুর পাড়ে মিলেছিল বালতি বোঝাই বোমা। এ বার তার পাশের গ্রাম রাজানগরে একাধিক বাড়ির দুয়ারে মিলল বোমা। স্থানীয় সূত্রে খবর, গভীর রাতে প্রথমে একটি বাড়ির বাইরে বোমা মেলে। গ্রামবাসীরা খবর দেন রঘুনাথগঞ্জ থানায়। পুলিশ গিয়ে সেই বোমা নিষ্ক্রিয় করতে ফেলে দিয়ে গিয়েছিল জলে। এরই মধ্যে রবিবার সকাল হতেই ফের এক বাড়ির দরজায়, একটি দোকানের দরজায় মেলে তাজা বোমা। ওই দুই গ্রামেই পঞ্চায়েতে বিজেপির চার জন সদস্যই জিতেছেন।
স্থানীয় বিজেপি নেতা সায়নদীপ দাসের অভিযোগ, “ভয় দেখাতে এসব করছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এই গ্রামে ওরা জিততে পারেনি। তাই হুমকি দিচ্ছে শাসক দল। পুলিশকে খবর দিলেও দু’ঘন্টা পরে আসছে গ্রামে। ফোন করলে বলছে, পুলিশ কি বোমা কুড়নোর জন্য আছে? ” ওই এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা বলছেন, “কাকে সন্দেহ করব? কখনও তো এমন ঘটেনি। বাড়ির দুয়ারে বোমা রেখে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। ছোট ছেলে-মেয়ে আছে বাড়িতে। আমার শাশুড়ি তো না বুঝে পা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছিলেন একটি বোমা। যদি ফেটে যেত, কী যে হত, ভাবতেও পারছি না। পুলিশকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের সঙ্গে কারও কোনও গোলমাল নেই। রাজনৈতিক গোলমালের ঘটনাও ঘটে না। দুয়ারে বোমা দেখে কোনও মানুষ সুস্থ থাকতে পারে ?” এ দিন পরপর বোমা উদ্ধারের পরেই ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা রঘুনাথগঞ্জ–আজিমগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে। ঘণ্টাখানেক ধরে সেই অবরোধ চলে। পরে পুলিশ গিয়ে বুঝিয়েসুজিয়ে অবরোধ তুলে দেয়।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)