Advertisement
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
Migrant Workers

খিদের টানে ফের ভিন রাজ্যে

কয়েক দিন ধরেই নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ, চাপড়া এলাকার বেশ কিছু মানুষ যেতে শুরু করেছেন ভিন রাজ্যে।

ছবি: এএফপি।

ছবি: এএফপি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২০ ০৬:০২
Share: Save:

বাড়ি ফিরে কাজ না পেয়ে আবার ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতে শুরু করেছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। কেউ যাচ্ছেন ত্রিপুরা তো কেউ তেলেঙ্গানা, কেউ আন্দামান আবার কেউ অন্ধ্রপ্রদেশে। এঁদের লড়াই শুধু করোনার বিরুদ্ধে নয়, খিদের বিরুদ্ধেও। তাই করোনা উপেক্ষা করে এঁরা আবার পাড়ি দিচ্ছেন ভিন রাজ্যে।

কয়েক দিন ধরেই নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ, চাপড়া এলাকার বেশ কিছু মানুষ যেতে শুরু করেছেন ভিন রাজ্যে। এঁদের বেশির ভাগই লকডাউন শুরু হওয়ার আগে মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ দিল্লি বা ত্রিপুরা থেকে ফিরে এসেছিলেন। তারপর ত্রাণ আর রেশনের চাল-ডাল পেয়েই বেঁচে ছিলেন। কিন্তু এ ভাবই কত দিন থাকা যায়? সন্তানের পড়াশোনো, বৃদ্ধ বাবা-মায়ের ওষুধ, বোনের বিয়ের খরচ আসবে কোথা থেকে? তাই তাঁদের অনেকেই আবার নতুন করে যোগাযাগ শুরু করেন স্থানীয় শ্রমিক-ঠিকাদারদের সঙ্গে। যাঁরা বিভিন্ন রাজ্যে একাধিক সংস্থায় শ্রমিক সরবরাহ করে থাকেন। এঁদেরই একজন কৃষ্ণগঞ্জের নালুপুরের বাসিন্দা সেলিম শেখ। তিনি চলে গিয়েছেন তেলেঙ্গনায়। দিনে সাড়ে পাঁচশো টাকার মজুরি পাচ্ছেন। টেলিফোনে বললেন, “জানি এতে ঝুঁকি আছে। কিন্তু কী করব বলুন? জীবনের ঝুঁকি সব কাজেই আছে।” মাজদিয়া থেকে তাঁরা ৩৫ জন বাসে করে পাড়ি দিয়েছিলেন তেলেঙ্গানায়। খরচ হয়েছে মোট দেড় লক্ষ টাকা। সেখানে পৌঁছে তাঁরা ছিলেন কোয়রান্টিন সেন্টারে। তার পর কাজে ঢুকে পড়েন।

প্রায় ৮৬ হাজার টাকা খরচ করে ২৪ জন পৌঁছে গিয়েছেন ত্রিপুরায়। আগরতলায় পাওয়ার হাউজ তৈরির কাজ চলছে। সেখানে রাজমিস্ত্রির কাজ ধরেছেন। তাঁদেরই এক জন প্রশান্ত বিশ্বাস। আগে ছিলেন চেন্নাইয়ে। এখন ত্রিপুরায় তাঁর সঙ্গে মাজদিয়া, ভীমপুর, আসাননগর ও কৃষ্ণনগরের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ ও উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা এলাকার অনেক মানুষ কাজ করছেন। এক লক্ষ তিরিশ হাজার টাকা বাস ভাড়া করে অন্ধ্রপ্রদেশ গিয়েছেন ২৩ জন। এরই মধ্যে আবার আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে চলে গিয়েছেন কুঠিরপাড়া এলাকার সাত জন। রবিবার রাতে সেখানে রওনা হচ্ছেন আরও ১৪ জন। ঠিকাদারেরা তাঁদের প্লেন খরচ করে পাঠাচ্ছেন। মাজদিয়ার বাসিন্দা সুশীল দাস যেমন ফতেপুর, মোহিতপুর, শিমুলিয়া, নারায়ণপুর গোয়ালপড়া এলাকা থেকে ৬০ জনকে বাসে করে পাঠিয়েছেন মধ্যপ্রদেশ। সুশীলবাবু বলেন, “পরিবারগুলোর অবস্থা খুবই খরাপ। না খেয়ে থাকতে হচ্ছিল। কাজে পাঠানোর জন্য বারবার অনুরোধ করছিল।”

অন্য বিষয়গুলি:

Migrant Workers
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy