Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Iskcon Temple

অতিথিশালা খুলে দিল ইস্কন

মন্দিরের ভিতরে একাধিক রেস্তরাঁ। এত দিন প্রসাদের ব্যবস্থা বন্ধ ছিল। এ দিন থেকে তা-ও মিলছে। মন্দিরে প্রবেশে বিধিনিষেধ অবশ্য প্রায় একই রকম থাকছে। সকালে ৯টা থেকে দুপুর ১টা এবং বিকালে ৪টে থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সাধারণ মানুষ ভিতরে যেতে পারবেন।

ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মায়াপুর শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:৪০
Share: Save:

মার্চ ২৩ থেকে সেপ্টেম্বর ২৩, টানা সাত মাস বন্ধ থাকার পরে বুধবার থেকে খুলে গেল মায়াপুর ইস্কনের গেস্ট হাউস। শুরু হল বুকিংও। তবে মায়াপুরে একাধিক অতিথিশালার মধ্যে আপাতত খোলা হয়েছে শুধু মাত্র ‘গদা ভবন’। এর পর জনসমাগম ও বুকিংয়ের বহর বুঝে অন্য গেস্ট হাউসগুলি খোলা হবে।

এই বছর দোল শেষ হয়েছিল গত ১০ মার্চ। দেশ-বিদেশের অতিথি-অভ্যাগতেরা বিদায় নিয়েছিলেন তার দিন তিনেকের মধ্যেই। তত দিনে করোনার ছায়া পড়তে শুরু করেছে মায়াপুরে। সেই অবস্থায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ইস্কন মন্দির। দরজা বন্ধ হয়েছিল সব অতিথি আবাসের। সেটা ছিল ‘জনতা কার্ফু’র দিন, ২২ মার্চ। এর পর টানা বন্ধ। আনলক পর্ব শুরুর পরে ইস্কন মন্দির এক বার খুলে ফের সংক্রমণের ভয়ে বন্ধ হয়ে যায়। এক মাস পরে দ্বিতীয় বারের জন্য আবার খুলেছে মন্দির। কিন্তু গেস্ট হাউস এর আগে খোলা হয়নি। গদা ভবনের জন্য ‘অনলাইন বুকিং’ চালু হওয়ায় আগের মতো সরাসরি এসে পর্যটকেরা এখন আবার ইস্কনে রাত কাটাতে পারবেন।

ইস্কনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে মন্দির, পর্যটন কেন্দ্র ধীরে ধীরে খুলে যাচ্ছে। তাই আমরাও গেস্ট হাউস খুলে দিলাম। গদা ভবনে তিনশোর বেশি শয্যা, খাবার ব্যবস্থা সবই আছে।” সকালের জলখাবার, দুপুর এবং রাতের প্রসাদ মিলছে। চালু হয়েছে মন্দিরের ভিতরে একাধিক রেস্তরাঁ। এত দিন প্রসাদের ব্যবস্থা বন্ধ ছিল। এ দিন থেকে তা-ও মিলছে। মন্দিরে প্রবেশে বিধিনিষেধ অবশ্য প্রায় একই রকম থাকছে। সকালে ৯টা থেকে দুপুর ১টা এবং বিকালে ৪টে থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সাধারণ মানুষ ভিতরে যেতে পারবেন। আলাদা আলাদা প্রবেশদ্বারে দর্শনার্থীদের স্যানিটাইজ় করে, থার্মাল চেকিং করে তবে ঢুকতে দেওয়া হবে। মন্দির চত্বরে তৈরি আছে একমুখী দর্শন পথ। শুধু বহিরাগত নয়, সবাইকেই সেই পথ দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে। মন্দির চত্বরে বসবাসকারীরাও যখন তখন আসতে পারবেন না, এ জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, “মানুষ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চাইছে। তাই সব খুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে যদি পরিস্থিতি প্রতিকুল হয়, তখন ফের বন্ধ করতে অসুবিধা নেই।” বাকি সব অতিথিশালা খোলা প্রসঙ্গে তিনি জানান, সবটাই পরিস্থিতির উপরে নির্ভর করছে। যদি দেখা যায় মানুষের সমাগম হচ্ছে, অনেকে আসতে বা থাকতে চাইছেন, সংক্রমণের হারও তেমন বাড়েনি, তখন সবই খুলে দেওয়া যেতে পারে।

অন্য বিষয়গুলি:

Mayapur Iskcon Temple
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy