—প্রতীকী চিত্র।
ডাক্তারিতে ভর্তির প্রতারণা চক্রের মূল পান্ডার হদিস পাওয়া গেল বিহারে। তাকে ধরতে সোমবার রাতেই বিহারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে কল্যাণী থানার পুলিশের একটা দল। কলকাতার ভবানীপুরেও গিয়েছে একটি দল। ধৃতদের অন্যতম মানালি দাস জেরায় জানিয়েছে, তার স্বামী কলকাতায় মেট্রো রেলের কর্মী। নদিয়ার রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার কুমার সানি রাজ বলেন, “তদন্ত চলছে। মঙ্গলবারের মধ্যে আরও কিছু পাওয়া যাবে।”
গত বৃহস্পতিবার কল্যাণী জেএনএমে ভর্তির নামে প্রতারণার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার হয়েছিল। আপাতত পুলিশ হেফাজতে তাদের জেরা করা হচ্ছে। তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, ধৃতদের অন্যতম বিহারের বাঁকা জেলার বাসিন্দা সঞ্জীব ঝাঁ জানিয়েছে যে চক্রের মূল পান্ডা ওই রাজ্যেরই লোক। সে-ই জাল নথিপত্র তৈরি করত। সঞ্জীবকে বিহার থেকে কলকাতায় পাঠিয়েছিল সে-ই। তারই কথা মতো কলকাতায় এসে সৌরভের সঙ্গে পরিচয় করে সঞ্জীব। এত দিন ‘সৌরভ দাস’ নামে যাকে প্রতারণা চক্রের পান্ডা ভাবা হচ্ছিল, সে আসলে চক্রের মাথা নয়।
ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জেনেছে, এই চক্রের জাল কলকাতাতেও বিছিয়েছে। বিহার থেকে চক্রের মূল পরিকল্পনা হয়। কলকাতায় কাজের দেখভাল করে ‘সৌরভ’, যদিও তার নাম আসলে সৌরভ কি না তা নিয়ে পুলিশের এখনও সন্দেহে রয়েছে।
তার যে ফোন নম্বর পাওয়া গিয়েছে, সেই নম্বরে অন্য নাম পাওয়া যাচ্ছে। সঞ্জীব ঝাঁয়ের কাছে একটি আধার কার্ড পাওয়া গিয়েছে। সেখানে ‘অনুপম সিংহ’ বলে এক জনের নাম রয়েছে। সঞ্জীব নিজেকে প্রথমে ‘অনুপম সিংহ’ বলেই পরিচয় দিয়েছিল। কিন্তু আধার কার্ডে থাকা ছবির সঙ্গে সঞ্জীবের মিল পাওয়া যাচ্ছে না।
পুলিশের সন্দেহ, ‘অনুপম সিংহ’ আর ‘সৌরভ দাস’ একই লোক হতে পারে। সে কলকাতার ভবানীপুরের বাসিন্দা। সোমবার রাতে সেখানেও কল্যাণী থানার একটি দল গিয়েছে। ইতিমধ্যে ধৃত কলকাতার কালীঘাট এলাকার মানালি দাস ও রত্না দাসকে টানা জেরা করেছে পুলিশ। জেরায় পুলিশ জেনেছে, রত্না বিবাহ-বিচ্ছিন্ন। পেট চালাতে সে কখনও আয়ার কাজ করত, কখনও বা ধূপ বিক্রি। অন্য একটি কাজের সূত্রে সৌরভ নামে এক জনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। নিজের চাকরির জন্য কাউকে সে পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছিল, তা মার যায়। সেই টাকা ঘরে তুলতেই সৌরভের সঙ্গে সে হাত মিলিয়েছিল। মানালি জেরায় জানিয়েছে, সে জীবন বিমার কাজ করত। তার থেকে পাওয়া তথ্য পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy