ফাইল চিত্র।
‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প চালিয়ে যাওয়া কার্যত অসম্ভব বলে দাবি করছেন রেশন ডিলারেরা। ইতিমধ্যেই সে কথা জানিয়ে কৃষ্ণনগরে জেলা খাদ্য দফতরের স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন অল বেঙ্গল ফেয়ার প্রাইস শপ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ডিলারেরা।
রেশন ডিলারদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দু’জন কর্মচারীর অর্ধেক বেতন রেশন ডিলারদের দেওয়ার কথা বলা হলেও গত সাত মাসে তা খাতায়-কলমেই রয়ে গিয়েছে। দুয়ারে রেশন প্রকল্পের জন্য সরকারের দেওয়া এক লক্ষ টাকা ভর্তুকি নিয়ে ছয় লক্ষ টাকার গাড়ি কিনে ব্যাঙ্কঋণের কিস্তির বোঝা ঘাড়ে পাড়ায়-পাড়ায় রেশন দেওয়া সম্ভব নয়। তাঁদের কমিশন বাড়িয়ে কুইণ্টাল পিছু ৪৪০ টাকা করার দাবিও জানিয়েছএন ডিলারেরা।
দুয়ারে রেশন প্রকল্পের শুরু থেকেই খাদ্য দফতরের সঙ্গে নানা সময়ে বিবাদ বেধেছে ডিলারদের। গত বিধানসভা ভোটের আগে এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে এই প্রকল্পের সূচনা হয়। শুরু থেকেই নারাজ ছিলেন ডিলারেরা। তার পর অনেক ডিলার প্রকল্পে যোগ দিলেও পরে তাঁদেরও একটা বড় অংশের অনীহা তৈরি হয়েছে। অনেক সময়ে ডিলারদের এই প্রকল্পে যোগ না দেওয়া নিয়েও অভিযোগ উঠেছে। কিছু দিন আগেই নাকাশিপাড়া ব্লকের মাঝেরগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এক ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে গ্রামবাসীরা জেলা খাদ্য দফতরে অভিযাগ দায়ের করেছিলেন।
গত মঙ্গলবার জেলা অল বেঙ্গল ফেয়ার পাইস শপ অ্যাসোসিয়েশনের তরফে খাদ্য দফতরে১৩ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছিল। সংগঠনের নদিয়া জেলা সম্পাদক কার্তিক দত্ত বলেন, “আমরা দুয়ারে রেশন প্রকল্পে যুক্ত থাকতে চাই না। আগামী ১৮ জুলাই খাদ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি জমা দেব। প্রয়োজনে আরও বড় আন্দোলনে নামব।” নদিয়া জেলা খাদ্য নিয়ামক অভিজিৎ ধাড়া বলেন, “সরকার যে প্রকল্প করেছে তা করতেই হবে। তবে ওঁরা যে দাবি জানিয়েছেন তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy