তিন দিন ধরে মৃত অবস্থায় ঘরে পড়ে ছিলেন ওই যুবক। —ফাইল চিত্র।
বাইরে থেকে দরজা বন্ধ। জানলা দিয়ে উঁকি দিয়েই শিরদাঁড়া দিয়ে হিমস্রোত বয়ে গেল পড়শি যুবকের। ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তার পর ঘরের দরজা ভেঙে বিছানা থেকে যুবকের নিথর দেহ উদ্ধার করলেন তাঁরা। রবিবার নদিয়ার নাকাশিপাড়ার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম নিতাই মণ্ডল (৩৮)। নাকাশিপাড়া থানা এলাকার যুগপুর এলাকার বাসিন্দা বাড়িতে একাই ছিলেন। কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হল, তা এখনও অজানা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার সময় নিতাইয়ের স্ত্রী এবং সন্তানরা বাড়িতে ছিলেন না। রবিবার সকালে এক প্রতিবেশী নিতাইকে ডাকতে আসেন। কিন্তু তাঁর কোনও সাড়াশব্দ পাননি। দরজায় টোকা দেন। কিন্তু কেউ দরজা খোলেননি। এর পর জানালা দিয়ে উঁকি দেন তিনি। দেখেন বিছানায় যে শরীর পড়ে রয়েছে, তাতে পচন ধরেছে। ওই যুবকের হাঁকডাকে অন্যেরা ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
দেহ উদ্ধারের পর তদন্তকারীরা মনে করছেন অন্তত ৭২ ঘণ্টা আগে নিতাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। নিতাইয়ের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত থেকে বাড়িতে একাই ছিলেন তিনি। দুই ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়িতে ছিলেন স্ত্রী। নিতাইয়ের দেহ উদ্ধারের সময় দেখা যায় বিছানায় মশারি টাঙানো। অর্থাৎ, ঘুমিয়ে থাকার সময়ই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। কিন্তু কী ভাবে মৃত্যু হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
নিতাইয়ের মৃত্যুতে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন তদন্তকারীরা। প্রথমত, তিন দিন ধরে স্বামীকে ফোনে না পেয়েও কেন তাঁর খোঁজ করলেন না নিতাইয়ের স্ত্রী? দ্বিতীয়ত, তিন দিন প্রতিবেশীরা নিতাইকে দেখেননি। কিন্তু তাঁর পাশের বাড়িতেই ছিলেন ভাই। কেন তিনি কোনও দাদার খবর নিলেন না? অন্য দিকে, মৃতের ভাই প্রহ্লাদ মণ্ডল বলেন, ‘‘বৌদি তিন দিন ধরে বাড়ি ছিল না। দাদা ভোর বেলায় বেরিয়ে যায়। রাতে ফেরে। তাই কখন সে আসছে, কখন যাচ্ছে আমি দেখিনি।’’ এই ঘটনা প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলা সুপার ঈশানী পাল বলেন, ‘‘দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy