Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Murder Case

ঘুমের মধ্যেই খুন প্রৌঢ়, দেহ মিলল খাটের নীচে, স্ত্রীর দিকে আঙুল মুর্শিদাবাদের পরিবারের

প্রতিবেশীদের প্রশ্ন, মাজারুল শেখ যখন খুন হন, সেই সময় তাঁর স্ত্রী কেন বাধা দেননি? আততায়ী তাঁর গায়ে কেন হাতই দিল না? খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

death

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
খড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:৪৬
Share: Save:

মধ্যরাতে ঘুমন্ত অবস্থায় এক প্রৌঢ়কে খুনের অভিযোগ মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানার আতাই গ্রামে। নলি কাটা অবস্থায় তাঁর রক্তাক্ত দেহ মেলে ঠিক খাটের নীচে মেঝেতে। যদিও প্রৌঢ়ের পাশে ঘুমিয়ে থাকা তাঁর স্ত্রীর গায়ে আঘাতের চিহ্নের লেশমাত্র নেই। তাই স্বামীর খুনের ঘটনায় স্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে পরিবার এবং প্রতিবেশীরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম মাজারুল শেখ। মঙ্গলবার নিজেদের দোতলার ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন মাজারুল ও তাঁর স্ত্রী। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ হঠাৎ মাজারুলের স্ত্রীর চিৎকারে ঘুম ভাঙে তাঁর মায়ের। পড়শিরাও চিৎকার শুনতে পান। সবাই দৌড়ে আসেন দোতলার ওই ঘরে। সেখানে নলি কাটা অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায় মাজারুলকে। স্থানীয়েরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে মাজারুলকে উদ্ধার করে কান্দি মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

মৃতের স্ত্রীর দাবি করেছেন, রাতে এক দুষ্কৃতী মুখ ঢাকা অবস্থায় তাঁদের ঘরে ঢোকেন। কিছু বুঝে ওঠার আগে তাঁর স্বামীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যান। অন্য দিকে, প্রতিবেশীদের প্রশ্ন, মাজারুলকে যখন খুন করা হয়, সেই সময় তাঁর স্ত্রী কেন বাধা দেননি? আততায়ী তাঁর গায়ে কেন হাতই দিল না? কেন মাজারুলের স্ত্রীর শরীরের আঘাতের লেশমাত্র চিহ্ন নেই? তখন তার স্ত্রী বাধা দিল না কেন? ইতিমধ্যে মৃতের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশও। মাজারুলের পরিবার এবং প্রতিবেশীদের দাবি, ওই ব্যক্তির সঙ্গে কারও এমন পর্যায়ের শত্রুতা থাকতে পারে না, যার জেরে তাঁকে খুন হতে হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা মকলেস মণ্ডলের দাবি, ‘‘অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ ও সৎ মানুষ ছিলেন মাজারুল। ওঁর সঙ্গে কারও ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘বাড়ির মধ্যে এসে পাশে শুয়ে থাকা একটা মানুষকে খুন করে গেল অথচ, তাঁর পাশেই ঘুমিয়ে থাকা এক জন কিছুই বুঝতে পারলেন না, এটা অসম্ভব ঠেকছে আমাদের কাছে। পুলিশের তদন্ত করে দেখা উচিত।’’ অন্য দিকে, মৃতের মা মজকুনা বেওয়া বলেন, ‘‘আমি কিছুই দেখিনি। বৌমার চিৎকারে ঘরে গিয়ে দেখি ছেলে পড়ে আছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেঝে।’’ তিনি ছেলের খুনের অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি করেছেন।

ওই খুনের ঘটনা প্রসঙ্গে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘‘পুলিশ পৌঁছেছে ঘটনাস্থলে। দেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। সমস্ত সম্ভাবনার দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত চলছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Murder Case Murshidabad killed
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy