দোলের রাতে মদের আসরে ডেকে এক পাওনাদারকে খুন করে তাঁর দেহ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ দুই যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার রানাঘাট পুলিশ জেলার তাহেরপুর থানা এলাকায়। ইতিমধ্যেই খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ।
জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে রানাঘাট পুলিশ জেলার তাহেরপুর থানা এলাকায় চূর্ণী নদী থেকে একটি দেহ উদ্ধার হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে জানা যায় মৃতের নাম ও পরিচয়। পরিবারের অভিযোগ, মদের আসরে ডেকে তাঁকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তবে অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
মৃতের নাম নাসুরাম বিশ্বাস। বয়স ৫৮ বছর। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, তাহেরপুর থানা এলাকার বাসবপুরের বাসিন্দা নাসুরাম সুদের কারবার করতেন। দিন কয়েক আগে স্থানীয় দুই যুবককে বেশ কিছু টাকা ধার দিয়েছিলেন তিনি। পরিবারের অভিযোগ, সেই টাকা আত্মসাতের পরিকল্পনা করে শুক্রবার মদের আসরে ডাকা হয়েছিল প্রৌঢ়কে। তার পর তাঁকে অতিরিক্ত মদ্যপান করিয়ে বেহুঁশ করে অস্ত্র দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। খুনের পর প্রমাণ লোপাট করতে দেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয় চূর্ণী নদীর জলে।
আরও পড়ুন:
শুক্রবার সারারাত নাসুরামের খোঁজ না পেয়ে উদ্বেগ বাড়তে থাকে পরিবারে। শনিবার দুপুর নাগাদ পুলিশ মারফত এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির দেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বাড়ির লোকজন। এর পর বাড়ির তরফে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে, পাওনা টাকা আত্মসাৎ করতে নাসুরামকে পরিকল্পনা করে খুন করেছেন দুই যুবক। এ নিয়ে রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার সানি রাজ বলেন, ‘‘দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার নির্দিষ্ট আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।’’