—ফাইল চিত্র।
পেঁয়াজ চাষিদের দীর্ঘ দিনের দাবিকেই মান্যতা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বিভাগীয় আধিকারিকদের কাছে পেঁয়াজ সংরক্ষণের ব্যাপারে জানতে চান। তিনি জেলায় পেঁয়াজ চাষের পরিমাণও বাড়াতে বলেন। খাদ্য সরবরাহ দফতরের সচিব মনোজকুমার আগরওয়াল ও কৃষি বিপণন দফতরের সচিব রাজেশকুমার সিংহকে নির্দেশ দেন খাদ্য সরবরাহ ও কৃষি বিপণন দফতর যেন একসঙ্গে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে।
ওই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী রাজেশকুমার সিংহের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আমরা যে ভাবে বাকুড়ার রুক্ষ মাটিতে ভাল পেঁয়াজ চাষ করতে পারছি, তেমন ভাবে মুর্শিদাবাদেও পেঁয়াজ চাষ বাড়াতে হবে।’’ তার পরেই তিনি জানতে চান, ‘‘পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য কী করা হয়েছে?’’ উত্তরে কৃষি বিপণন দফতরের সচিব বলেন, ‘‘পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য জেলায় পাঁচশোরও বেশি পেঁয়াজ গোলা চাষিদের তৈরি করে
দেওয়া হয়েছে।’’
মুখ্যমন্ত্রী তখন বলেন, ‘‘গোলা টোলা ও সব ভুলে যাও। গোলাতে তো বেশি দিন রাখা যাবে না। আমি চাইছি পেঁয়াজ যাতে এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায় তেমন ব্যবস্থা নিতে। প্রয়োজনে চাষিরা যাতে রাজ্যকে পেঁয়াজ সরবরাহ করতে পারে সে দিকেও নজর দিতে হবে।’’
জেলার পেঁয়াজ চাষিদের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল, পেঁয়াজ সংরক্ষণের ব্যাপারে উদ্যোগী হোক সরকার। বুধবার সেই দাবিকে মুখ্যমন্ত্রী মান্যতা দেওয়ায় আশায় বুক বাঁধছেন মুর্শিদাবাদের পেঁয়াজ চাষিরা। নওদার চাষি সবুব হালসানা বলছেন, ‘‘পেঁয়াজ সংরক্ষণের কোনও ব্যবস্থা না থাকায় পেঁয়াজ ওঠার পরেই কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হই। এ বারেও তিন থেকে সাড়ে তিন টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। এখন সেই পেঁয়াজ আশি টাকা দরে কিনে খেতে হচ্ছে।’’
সাকোয়ার চাষি বাসিরুল ইসলাম বলছেন, ‘‘আর এই সুযোগটাকেই কাজে লাগায় ফড়েরা। যাদের সামর্থ্য আছে তারা ঘরোয়া পদ্ধতিতে বাঁশের মাচা তৈরি করে বা দড়ি দিয়ে পেঁয়াজের থোকা ঝুলিয়ে ঘরে পাখা চালিয়ে পেয়াজ সংরক্ষণ করে। তবে সে ভাবে বেশি পেঁয়াজ রাখা যায় না।’’ দুধসরের চাষি প্রণব মণ্ডল বলছেন, ‘‘পেঁয়াজ নিয়ে প্রতি বছরই চোখের জল ফেলতে হয়। সংরক্ষণের ব্যবস্থা হলে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ থাকব।’’
কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় প্রায় ন’হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়। জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা তাপসকুমার কুণ্ডু বলেন, ‘‘নওদা, হরিহরপাড়া ব্লকে ভাল পেঁয়াজ চাষ হয়। পেঁয়াজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা হলে চাষিরা আরও বেশি পেঁয়াজ চাষে উৎসাহিত হবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy