—ছবি সংগৃহীত।
রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ১ ডিসেম্বর থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। চলবে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। মুর্শিদাবাদ জেলায় ১১ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে প্রথম দফার কর্মসূচি। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বিভিন্ন পরিষেবা নিয়ে প্রথম দফায় প্রায় ছ’লক্ষ উপভোক্তা ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি পরিষেবা নিতে হাজির হয়েছেন শিবিরগুলিতে। এর মধ্যে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পে আবেদন জমা পড়েছে সবচেয়ে বেশি। ইতিমধ্যে ওই প্রকল্পেই জেলায় প্রায় পাঁচ লক্ষ আবেদনকারীর তথ্য নথিভুক্ত হয়েছে।
প্রথম দফার কর্মসূচিতে জেলার ২৬টি ব্লকের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুর এলাকায় শিবির করা হয়েছে। সেখানে উপভোক্তাদের কাছ থেকে আবেদন জমা নিয়েছে প্রশাসন। প্রথম দফায় সবচেয়ে বেশি আবেদন-তথ্য নথিভুক্ত হয়েছে সাগরদিঘি ব্লকে। এরপর ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় দফার কর্মসূচি। চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। যে সমস্ত উপভোক্তা যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও রাজ্য সরকারের ‘স্বাস্থ্যসাথী’, ‘কৃষকবন্ধু’, ‘রূপশ্রী’, ‘কন্যাশ্রী’-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন, তাঁদের সহায়তা দিতেই বিভিন্ন পরিষেবা নিয়ে ‘দুয়ারে’ পৌঁছচ্ছেন সরকারি কর্মী-আধিকারিকরা। হরিহরপাড়া, ডোমকল, নওদা, জলঙ্গি, লালবাগ, বহরমপুর, কান্দি, জঙ্গিপুর-সহ সর্বত্র বিভিন্ন এলাকায় শিবিরে সাধারণ মানুষের ভিড় উপচে পড়েছিল প্রথম দফায়। তবে অধিকাংশ জায়গায় সামাজিক দূরত্ববিধি শিকেয় উঠেছিল বলে অভিযোগ। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে ব্লকে ব্লকে শুরু হয়েছে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পে ছবি তোলার কাজ। তাছাড়া আবেদনের ভিত্তিতে জবকার্ড, ‘স্বাস্থ্যসাথী’, ‘খাদ্যসাথী’-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা আগামী শিবিরগুলিতে উপভোক্তাদের দেওয়া হবে। জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মীনা বলেন, ‘‘প্রথমপর্বে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে। আশা করছি, পরবর্তী শিবিরগুলিতে আমরা একশো শতাংশ মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সহায়তা পৌঁছে দিতে পারব। অন্য প্রকল্পের সহায়তাও উপভোক্তাদের দেওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy