Advertisement
২৩ জানুয়ারি ২০২৫

বাজার ঘুরে ভোট-বাজার প্রার্থীদের

কৃষ্ণনগর শহরের দু’টো বড় বাজার— পাত্রবাজার ও গোয়ারিবাজার। বিজেপি সূত্রে খবর, এ দিন সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যে বেরিয়ে পড়েন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে।

প্রচারে মহুয়া মৈত্র।

প্রচারে মহুয়া মৈত্র।

সুস্মিত হালদার 
শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৯ ১০:৩১
Share: Save:

আর পাঁচটা দিনের চেয়ে রবিবারের বাজারে ভিড় থাকে বেশি। আবার রবিবার কর্মীদেরও পাওয়া যায় এক সঙ্গে। সে কথা অজানা নয় রাজনৈতিক দলগুলির। সে কারণে কম পরিসরে এ ভাবে বেশি মানুষকে এক সঙ্গে পাওয়ার সেই সুযোগ হাতছাড়া করেনি কোনও দলই। তাই সকাল সকাল বেরিয়ে পড়তে দেখা গেল প্রতিটি দলের প্রার্থীকে। কেউ সারলেন কর্মিসভা। কেউ বা ঢুঁ মারলেন মাছের বাজারে। কেউ বা মেঠো পথে হাঁটা দিয়ে সংযোগ বাড়ালেন জনতার সঙ্গে।

তৃণমূল সূত্রে খবর, রবিবার, ছুটির দিনে কর্মীদের এক সঙ্গে পাওয়া যাবে বলে এ দিন সকালেই নিজের বিধানসভা কেন্দ্র করিমপুরে কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক সারেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। শনিবার রাতে করিমপুরেই ছিলেন তিনি। যদিও কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে করিমপুর না পড়ে না তবে তাঁর বিধানসভা এলাকায় দলের ‘লিড’ সুনিশ্চিত করতে রবিবারের সকালটা বেছে নেন তিনি। বৈঠক শেষে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে কৃষ্ণনগরে যান। দুপুরে সেখানেও কয়েক জন কর্মীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বিকেল ৩টে নাগাদ বেরিয়ে পড়েন কালীগঞ্জের উদ্দেশে। পথে নাকাশিপাড়ার দোগাছিতে একটি ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় যান। সেখান থেকে দেবগ্রাম বাজার ও পরে পলাশিবাজার। রবিবার সন্ধ্যায় এই দুই বাজারে ভিড় জমান আশোপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা। সে কথা ‘মাথায় রেখে’ ওই দুই বাজারে পথসভা করেন তিনি।

কৃষ্ণনগর শহরের দু’টো বড় বাজার— পাত্রবাজার ও গোয়ারিবাজার। বিজেপি সূত্রে খবর, এ দিন সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যে বেরিয়ে পড়েন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে সটান ঢুকে পড়েন গোয়ারিবাজারে। বাজার ঘুরে ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলেন। সেখান থেকে যান পাত্রবাজারে। সঙ্গে ছিলেন শহরের নেতা-কর্মীরা। সেখান থেকে তিনি কৃষ্ণনগর সংলগ্ন রোড স্টেশন বাজারে যান। বাজারে আসা লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। কখনও বা এগিয়ে গিয়ে কথা বলেন আনাজ বা মাছ বিক্রেতার সঙ্গে। হাত মেলান বাজারে আসা লোকজনের সঙ্গে। সেখান থেকে যান সেবাগ্রামে। গ্রামের রাস্তায় হেঁটে যাওয়ার সময় পথ-চলতি মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। এরই মধ্যে চেয়ে নেন একটা সাইকেল। সাইকেল চালিয়ে চলে যান বেশ কিছুটা। সেখান থেকে চলে যান দলীয় কার্যালয়ে। কর্মীদের সঙ্গে দুপুরে বৈঠক করেন। বিকেলে কৃষ্ণনগরের তিন ইঞ্চি দুর্গা বাড়িতে বড় স্ক্রিনে নরেন্দ্র মোদীর ‘ম্যায় হুঁ চৌকিদার’-এর সরাসরি সম্প্রচার দেখানো হয়। সেখানেও উপস্থিত ছিলেন তিনি। সন্ধ্যায় যান নাকাশিপাড়ার অগ্রদ্বীপে। সেখানে প্রচার সারেন। কল্যাণ বলছেন, “রবিবার মানুষ সকাল সকাল বাজারে ভিড় জমান। আমরা তাই সেখানেই প্রচারটা সেরে নিয়েছি। এতে এক সঙ্গে অনেক মানুষকে পাওয়া যায়।”

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

একই ভাবে এ দিন সকালে বেরিয়ে পড়েছিলেন সিপিএম প্রার্থী শান্তনু ঝা। সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ চলে যান ধুবুলিয়ার নতুন বাজারে। সেখান আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রচুর চাষি পাইকারি বাজারে আনাজ নিয়ে আসেন। সেখানে জনসংযোগ সেরে ধুবুলিয়া বটতলা বাজারে যান। সেখন থেকে ধুবুলিয়া রেলবাজার। সেখানে প্রচার সেরে তাতলা বাজার, বেলপুকুর বাজার, পোলাতা বাজার হয়ে রাজাপির গ্রামের রাস্তায় হাঁটেন। সেখান থেকে শোনডাঙার আলিবাজার। দুপুরে সেখানে প্রচার সেরে পণ্ডিতপুরে যান। সেখান কর্মীদের বাড়িতে বিশ্রাম নিয়ে আবার বেড়িয়ে পড়েন। আনন্দনগর, মায়াকোল, পণ্ডিতপুরে ছোট ছোট পথসভা সেরে সোনাতলা বাজারে পথসভা করেন। আবার ন’পাড়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন গ্রামে প্রচার সেরে রাতে সিংহাটি গ্রামে পথসভা করেন তিনি। শান্তনু বলছেন, “আমাদের লক্ষ্য হল, একটা জায়গায় যত বেশি সম্ভব মানুষের কাছে পোঁছনো। সে ক্ষেত্রে রবিবারের বাজারগুলো হল সবচেয়ে ভাল জায়গা। আমরা তাই এ দিন যত বেশি সংখ্যক বাজারে ঘোরার চেষ্টা করেছি।”

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2019 লোকসভা ভোট ২০১৯
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy