Advertisement
১৮ অক্টোবর ২০২৪
Internal Conflict In TMC

সাংসদের সংবর্ধনা সভায় ‘গরহাজির’ অনেক নেতা

২১ জুলাইয়ের সভার আগে বিধায়কদের গরহাজিরায় কর্মীদের কাছে ভুল বার্তা যাবে বলে মনে করছেন তৃণমূলের ওই নেতারা।

খলিলুরের সংবর্ধনায় শমসেরগঞ্জ থেকে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক পথে কয়েকশ বাইক নিয়ে মিছিল এল রঘুনাথগঞ্জে।

খলিলুরের সংবর্ধনায় শমসেরগঞ্জ থেকে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক পথে কয়েকশ বাইক নিয়ে মিছিল এল রঘুনাথগঞ্জে। বিপদের ঝুঁকি নিয়ে মাথায় হেলমেট ছাড়াই। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৪ ০৬:৩৮
Share: Save:

সদ্য নির্বাচিত দলীয় সাংসদের সংবর্ধনা সভায় ‘অনুপস্থিত’ থাকলেন তৃণমূলের এক মন্ত্রী-সহ সাত জন বিধায়কই। শনিবার বিকেলে এই সংবর্ধনার আয়োজন করেছিল তৃণমূলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটি। আমন্ত্রণপত্রে নাম ছিল জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার ৯ জন বিধায়কের। কিন্তু দু’জন ছাড়া কাউকেই সভায় দেখা যায়নি। তাঁদের এই অনুপস্থিতির কারণ নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতেপ্রকাশ্যে কিছু বলেননি।

দলের জেলা স্তরের কোনও কোনও নেতা বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই ঘটনায় খুশি নন তাঁরা। ২১ জুলাইয়ের সভার আগে বিধায়কদের গরহাজিরায় কর্মীদের কাছে ভুল বার্তা যাবে বলে মনে করছেন তৃণমূলের ওই নেতারা। আজ, সোমবার রঘুনাথগঞ্জের রবীন্দ্র ভবনে সভা করতে আসার কথা মুর্শিদাবাদে দলীয় সংগঠন দেখভালের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের। ওই সভার অন্যতম এক উদ্যোক্তা কিছুটা কটাক্ষের সুরেই দাবি করেন, “খলিলুরের সংবর্ধনা সভায় না এলেও ফিরহাদের সভায় মুখ দেখাতে প্রায় সব বিধায়ক আসবেন, তা ধরেই নেওয়া যায়।” তবে এ দিনের সংবর্ধনা সভায় দলীয় কর্মীরা ভিড় করেছিলেন। রবীন্দ্র ভবনে ছ’শো জন লোক ঢোকার ব্যবস্থা রয়েছে। তাই অনেকেই এ দিন সেখানে ঢুকতে পারেননি। শমসেরগঞ্জ থেকে জেলা পরিষদ সদস্য আনারুল হকের নেতৃত্বে কয়েকশো মোটরবাইকের মিছিল সভায় আসে। জাতীয় সড়ক দিয়ে ৩০ কিমি পথ পেরিয়ে আসা বাইক আরোহীদের কারও মাথায় হেলমেট চোখে পড়েনি। পুলিশও কার্যত ছিল চোখ বন্ধ করে।

সংবর্ধনা সভায় বিধায়কদের অনুপস্থিতি নিয়ে খলিলুরের প্রতিক্রিয়া, “কিছু বলার নেই। তবে ওঁদের ব্যক্তিগত কোনও কাজ থাকতে পারে।” জঙ্গিপুরের সাংগঠনিক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, “এটা তো বিধায়কদের সংবর্ধনা নয়, সাংসদের সংবর্ধনা। মন্ত্রী বা বিধায়কেরা কেন আসেননি, তা আমি বলতে পারব না। আমি নিজে আমন্ত্রিত বলে এসেছি। অন্যরা কেন আসেননি, তা সভার উদ্যোক্তারা বলতে পারবেন।’’

উদ্যোক্তাদের অন্যতম তথা তৃণমূলের জেলা কমিটির সহকারী সভাপতি সুভাষ লালা বলেন, “সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই সভার আয়োজন করা হয়েছে। প্রথমে ১৪ জুলাই সভা হবে বলে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু পরদিন ফিরহাদ হাকিম আসবেন জঙ্গিপুরে। তাই সভার দিন বদলে শনিবার করা হয়। দলের এক মন্ত্রীর সঙ্গে শনিবার সকালেও কথা হয়েছিল। তিনি আসবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। তার পরেও কেন আসেননি, তা জানি না।’’

সুভাষ আরও বলেন, ‘‘নবগ্রামের বিধায়ক কানাই মণ্ডল চিকিৎসার জন্য বেঙ্গালুরুতে গিয়েছেন। ফরাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলাম আসতে পারবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন। অন্যরা কেন আসেননি। তা তাঁরাই বলতে পারবেন।” পূর্ব নির্ধারিত পারিবারিক কাজে ব্যস্ত থাকায় আসতে পারেননি বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী আখরুজ্জামান। ফরাক্কার বিধায়ক মনিরুল অবশ্য রবিবার আলাদা ভাবে খলিলুর রহমানকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। যদিও ফরাক্কা খলিলুরের সংসদীয় এলাকার মধ্যে পড়ে না। ফরাক্কায় তৃণমূল ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে হেরে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। তৃণমূলের চেয়েও সেখানে বিজেপি এগিয়ে ছিল ১০ হাজারেরও বেশি ভোটে।

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Jangipur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE