Advertisement
১৬ জানুয়ারি ২০২৫
Bengal Assembly Election2021

শক্তি প্রদর্শনে উদ্যোগী বামেরা

দিন বহরমপুর শহরের রাজপথে এসএফআইয়ের মিছিলে দেখা গিয়েছে কেউ বাইশ, কেউ তেইশ, কেউ আর একটু বড়, এমন তরুণ মুখকে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:১২
Share: Save:

বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসার মুখে এক রকম নিয়ম করেই পথে নামতে শুরু করেছে বামেদের বিভিন্ন সংগঠন। কখনও কৃষি আইনের প্রতিবাদ, কখনও এনআরসি-র প্রতিবাদকে সামনে রেখে তাদের সংগঠনগুলি একাধিক কর্মসূচি নিচ্ছে। বৃহস্পতিবার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বহরমপুরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করল ছাত্র সংগঠন এসএফআই। জেলার রাজনীতিকদের মতে, বাম-কংগ্রেসের জোটে সিলমোহর পড়ার পরে বামেদের এই ভাবে পথে নামাটি খুবই ইঙ্গিতপূর্ণ। মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের শক্তির সঙ্গে তাল ঠুকে আসন বণ্টনে দর কষাকষির জন্যই রাজপথে এই ভাবে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করা বামেদের দরকার। বিশেষ করে সেপ্টেম্বরের গোড়ায় বাম দল ছেড়ে তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন এসএফআইয়ের তৎকালীন সভাপতি জোশেফ হোসেন সহ বহু ছাত্রকর্মী। তার পরে বামেদের আরও বেশি করে নিজেদের শক্তি দেখানো দরকার ছিল বলেই দলেরই একটি মহলের বক্তব্য।

এ দিন বহরমপুর শহরের রাজপথে এসএফআইয়ের মিছিলে দেখা গিয়েছে কেউ বাইশ, কেউ তেইশ, কেউ আর একটু বড়, এমন তরুণ মুখকে। তবে দলেরই বিক্ষুব্ধ এক যুব নেতা বললেন, “বড়রা ঘরে বসে কৌশল ঠিক করছে আর লড়াইয়ের ময়দানে ছাত্রদের, নয় যুবদের, না হয় শিক্ষকদের পথে নামিয়েছেন বাম নেতারা। কঠিন লড়াইটা এড়িয়ে যাচ্ছেন ওঁরাই।”

এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক শাহনেওয়াজ ইসলাম এদিন মঞ্চে বলছেন, “যাঁরা চলে গিয়েছেন তাঁরা ভাবতেই পারেন জেলায় সংগঠন উঠে যাবে। কিন্তু বাস্তব বলছে আমরা জেলায় বাড়ন্ত নই, বাড়ছি।”

সিপিএম ছেড়ে কেউ আজ জোড়াফুলে কেউ পদ্মে আশ্রয় খুঁজেছে ফলে জেলায় বামেরা সমর্থন হারাচ্ছে বলে বিরোধীদের অহরহ তোপের মুখে পড়তে হয় বামেদের। তবে মার্চে লকডাউন শুরু হওয়ার পর কাজ হারানো মানুষদের পাশে কখনও বা পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানো বাম যুবদের ভূমিকার প্রশংসাও করছেন অবশ্য শাসকদলের কেউ কেউ। ডিওয়াইএফের জেলা সম্পাদক ধ্রুবজ্যোতি সাহা বলছেন, “দেখুন ‘আমরা সরকারে নেই দরকারে আছি’ সে কথা তৃণমূল বা বিজেপিকে বলবার দরকার নেই। মানুষই বলবে।”

কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নানান সিদ্ধান্তের বিরোধী প্রচারে কখনও রাস্তার মোড়ে পথসভা করে কখনও প্রচারপত্র বিলি করে পুরোনো ধাঁচে মানুষের সঙ্গে থেকে বামেদের প্রাসঙ্গিকতাও বজায় রেখেছেন বাম শিক্ষক নেতারা। তবে শুধু যে ভোটের স্বার্থেই তাঁদের এই কর্মসূচি তা মানতে রাজি নন শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি মহম্মদ জুলফিকার আলি। তিনি বলেন, “ইতিহাস বলছে বাম শাসনকালেও সরকারের বিরোধিতা করেছে এবিটিএ।” কৃষকদের স্বার্থে তাঁরা নতুন বছরে

আন্দোলনে নামবেন।

সিপিএমের জেলা সম্পাদক নৃপেন চৌধুরী বলেন, “বামবিরোধীরা রাস্তায় লাল পতাকা দেখে ভয় পেয়ে যায়। আমরা আবার পথে নামব।” জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাসের কথায়, ‘‘বামেরা যতই রাজপথে শক্তি প্রদর্শন করুন না কেন, আসন বণ্টন ভোটের অঙ্ক মেনেই হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Bengal Assembly Election2021 CPM
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy