ধস নেমে মিজোরামে মৃত বুদ্ধদেব, মিন্টু এবং রাকেশ। — ফাইল ছবি।
মিজোরামের পাথর খাদানে ধস। এখনও পর্যন্ত উদ্ধার আট জনের দেহ। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন নদিয়ার তেহট্টের তিন যুবক। তেহট্ট থেকে মিজোরামে কাজ করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। মৃতদের নাম বুদ্ধদেব মণ্ডল (২৪), মিন্টু মণ্ডল (২২) ও রাকেশ বিশ্বাস (২০)। তিন জনই তেহট্টের কালিতলা পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৮ নভেম্বর একটি ঠিকাদার সংস্থার অধীনে কাজ করতে মিজোরাম যান ওই তিন জন। সংস্থাটি মিজোরামে জাতীয় সড়ক নির্মাণের কাজ করছিল। রাস্তা নির্মাণের সময় খাদান থেকে পাথর আনার কাজ করছিলেন ১৩ জন। তাঁদের মধ্যেই বুদ্ধদেবরা ছিলেন।
সোমবার সন্ধ্যায় ওই খাদানে বেশ কয়েকটি বড় পাথরের চাঁই গড়িয়ে নীচে পড়ে। চাপা পড়েন ১৩ জন শ্রমিক। এক শ্রমিক জানিয়েছেন, পাথর চাপা পড়ার প্রায় চার ঘণ্টা পর উদ্ধার কাজ শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত আট জনের দেহ ওই খাদান থেকে উদ্ধার হয়েছে। প্রথমে জানা গিয়েছিল, মৃতদের বাড়ি বিহারে। পরে জানা যায় আট জনের মধ্যে পাঁচ জনের বাড়ি বাংলায়। তিন জন তেহট্টের। বাকি এক জনের বাড়ি চাপড়ায়। অন্য এক জন উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা।
মিজোরামের ধসের কথা শুনে মঙ্গলবার সকাল থেকেই আতঙ্কিত হয়ে ওঠে তেহট্টে ওই তিন শ্রমিকের পরিবার। মৃত রাকেশের বাবা কালু বিশ্বাস বলেন, ‘‘এখানে কোনও কাজ পাচ্ছিল না। তাই ওরা কাজে যায়। ওর জামাইবাবুর সঙ্গে রবিবার শেষ কথা হয়। আজ এই খবর পেলাম।’’ বুদ্ধদেবের বাবা মধুসূদন মণ্ডল বলেন, ‘‘নিজেই ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে ও কাজে গিয়েছিল। তার পর আর কোনও কথা হয়নি। আজ ঠিকাদার সংস্থার থেকে খবর পেয়ে জানতে পারলাম যে, ও আর বেঁচে নেই।’’
ওই ঠিকাদারি সংস্থায় কাজ করতেন স্থানীয় যুবক অমিত মণ্ডল। তিনি ছুটিতে বাড়ি ফিরেছিলেন। দুপুরে তাঁকে ফোন করে মৃত্যুর খবর দেওয়া হয় সংস্থার তরফে। অমিত জানান, ‘‘ছুটিতে বাড়ি না এলে আমারও হয়তো একই ভাবে মৃত্যু হত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy