Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
WBJEE 2023

বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, কম আলোতেই জয়েন্ট

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পোজিট বিল্ডিং-এর ৯টি ঘরে মোট ৩৫৬ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন। সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত দুই ভাগে চার ঘণ্টার পরীক্ষা ছিল।

Candidates of joint entrance examination

জয়েন্ট পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার আগে যন্ত্রে মাপা হচ্ছে তাপমাত্রা। রবিবার কৃষ্ণনগরে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কল্যাণী শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২৩ ০৯:০৩
Share: Save:

জয়েন্ট এন্ট্রান্সের পরীক্ষার্থীরা রবিবার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যত অন্ধকার ঘরে বসে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে পরীক্ষা দিলেন। এ দিন দুপুরে ঝড়-বৃষ্টির সময়ে বিদ্যুৎ চলে যায়। আকাশ মেঘলা থাকায় অন্য দিনের তুলনায় দিনের আলোও কম ছিল। তখন দ্বিতীয় ভাগের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। পরীক্ষকেরা ঘরের জানলা, দরজা খুলে আলোর সমস্যা দূর করতে চেষ্টা করলেও বাইরের আলো কম থাকায় সমস্যার সমাধান সে ভাবে হয়নি। অন্ধকার ঘরে বিদ্যুৎ-ছাড়া জয়েন্টের প্রবেশিকা পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পরীক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পোজিট বিল্ডিং-এর ৯টি ঘরে মোট ৩৫৬ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন। সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত দুই ভাগে চার ঘণ্টার পরীক্ষা ছিল। মাঝে এক ঘণ্টার বিরতি ছিল। প্রথম ভাগের পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার পর ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে বিদ্যুৎ চলে যায়। দুপুর দুটো থেকে চলা দ্বিতীয় অর্ধের পরীক্ষার দু’ঘণ্টার মধ্যে মাঝে কয়েক মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ এসেও আবার চলে যায়। প্রায় দেড় ঘণ্টা কম আলোতেই পরীক্ষা দিতে বাধ্য হন পরীক্ষার্থীরা।

রানাঘাট থেকে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন আগ্নিক রায়। তিনি বলেন, ‘‘দ্বিতীয় অর্ধের পরীক্ষা শুরুর দিকে এক ঘণ্টার বেশি সময় বিদ্যুৎ ছিল না। আবার, পরীক্ষা শেষের দিকে কিছু সময় বিদ্যুৎ ছিল না। ফলে, আলোর সমস্যা হয়েছে। ওই অবস্থাতেই পরীক্ষা দিতে হয়েছে।’’ এক শিক্ষক জানাচ্ছেন, আলোর সমস্যা হয়েছে। গরম অন্য দিনের তুলনায় কম থাকলেও এক ঘরে অনেক পরীক্ষার্থী থাকায় গরমের সমস্যাও হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, যেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়েন্টের প্রবেশিকা পরীক্ষা হচ্ছে, সেখানে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পরে বিদ্যুৎ সরবরাহের বিকল্প কোনও ব্যবস্থা কেন থাকল না? পাশেই কল্যাণী ইউনিভার্সিটি এক্সপেরিমেন্টাল হাইস্কুল বিদ্যুৎ অফিস থেকে ট্রান্সমিশন বসে যাওয়ার কথা জানার পর জেনারেটর চালিয়ে আলোর সমস্যা দূর করেছে। সেখানে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় কেন তা পারল না, উঠছে সে প্রশ্নও।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কম্পোজিট বিল্ডিং-এ সাধারণ বিদ্যুৎ সংযোগের পাশাপাশি হটলাইনের ব্যবস্থা রয়েছে। হটলাইনের মাধ্যমে শুধুমাত্র কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়েই বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়। সাধারণ লাইনে বিদ্যুৎ চলে গেলেও হটলাইনে বিদ্যুৎ সাধারণত যায় না। রবিবার দুপুরে দুটো লাইনেই বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়— তিনটি সার্কিট বসে গিয়েছে। হটলাইনেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। ফলে, রবিবার কম আলোতেই পরীক্ষা দিতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের।

কেন জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়নি আগে থেকে? বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাসমূহের নিয়ামক বিমলেন্দু বিশ্বাস বলেন, ‘‘হটলাইন থাকায় জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়নি। এ দিন হটলাইনও বসে যাওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আলোর জন্য পরীক্ষার্থীদের কিছুটা সমস্যা হলেও পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

WBJEE 2023 Joint Entrance Exam kalyani university
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy