Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Ranaghat

মতুয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব মুকুট-জগন্নাথের

রাজনৈতিক মহলের খবর, বিধানসভা ভোটে নদিয়ায় বিজেপির জয়ে মতুয়ারা বড় ‘ফ্যাক্টর’ হতে পারেন। যে নেতা মতুয়াদের ভোট দলের জন্য বেশি টানতে পারবেন, তাঁর কদর দলে তত বাড়বে।

রানাঘাটে মতুয়াদের জনসভা। মঙ্গলবার। ছবি: প্রণব দেবনাথ

রানাঘাটে মতুয়াদের জনসভা। মঙ্গলবার। ছবি: প্রণব দেবনাথ

সম্রাট চন্দ 
রানাঘাট শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২০ ০২:৩৩
Share: Save:

মতুয়া সংগঠনের কর্মসুচিকে কেন্দ্র করে নদিয়ায় ক্রমশ বিজেপির মধ্যে ফাটল চওড়া হচ্ছে। বিজেপিপন্থী মতুয়াদের একাংশ সাংসদ জগন্নাথ ঘোষের দিকে ঝুঁকে রয়েছেন, আরেক দল মুকুটমণি অধিকারীর ঘনিষ্ঠ হয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহলের খবর।

তারই ফলশ্রুতিতে বগুলায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বলবৎ করার দাবিতে বিজেপি-ঘেঁষা মতুয়া সংগঠনের কর্মসূচীর দু’ দিন আগেই একই দাবিতে অন্য কর্মসূচি আয়োজিত হয়েছে মঙ্গলবার। অন্য একটি বিজেপিুন্থী মতুয়া সংগঠন এবং ‘নিখিল ভারত বাঙালি সমন্বয় সমিতি’র ডাকে রানাঘাটে ওই কর্মসূচি পালিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার। কিন্তু ডাক পাননি বগুলার কর্মসূচির উদ্যোক্তা মুকুটমণি। রানাঘাটের কর্মসূচিকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলেছেন মুকুট, যার পাল্টা জবাব দিয়েছেন জগন্নাথও।

রানাঘাটের রথতলায় মঙ্গলবার শ্রী শ্রী হরিগুরুচাঁদ মতুয়া মহাসংঘ এবং নিখিল ভারত বাঙালি সমন্বয় সমিতির যৌথ উদ্যোগে একটি সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়। উদ্দেশ্য, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন দ্রুত চালু করা। এখানে জগন্নাথ সরকার ছাড়াও ছিলেন বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অশোক চক্রবর্তী এবং জগন্নাথ-ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতা। জগন্নাথের দাবি, তাঁর কেন্দ্রের মধ্যে ওই মতুয়া সংগঠনের কর্মসূচিতে আমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন না মুকুটমণি অধিকারি। মাস কয়েক আগেই তাঁকে বিজেপিপন্থী মতুয়া সংগঠনের নদিয়া দক্ষিণ জেলার সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

জগন্নাথের সঙ্গে লোকসভা ভোটের সময় থেকেই দূরত্ব রয়েছে মুকুটের। কিছুদিন আগে নিজের ফেসবুক পোস্টে নাম না করে জগন্নাথকে বিঁধেছেন তিনি। লোকসভা ভোটে রানাঘাট কেন্দ্রে প্রথমে বিজেপির ঘোষিত প্রার্থী ছিলেন মুকুটমণি। তবে চাকরি সংক্রান্ত জটিলতায় শেষপর্যন্ত প্রার্থী হওয়া হয়নি পেশায় চিকিৎসক মুকুটমণির।

রাজনৈতিক মহলের খবর, বিধানসভা ভোটে নদিয়ায় বিজেপির জয়ে মতুয়ারা বড় ‘ফ্যাক্টর’ হতে পারেন। যে নেতা মতুয়াদের ভোট দলের জন্য বেশি টানতে পারবেন, তাঁর কদর দলে তত বাড়বে। এই সমীকরণেই জগন্নাথ ও মুকুটমণি দু’জনেই ঝাঁপিয়েছেন এবং একটা ঠাণ্ডা লড়াই শুরু হয়েছে।

মুকুটমণি এ দিন বলেন, “রানাঘাটের কর্মসূচির কথা আমি জানতাম না। এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এর মাধ্যমে মতুয়াদের বিভক্ত করা হচ্ছে।” আবার এর পালটা জগন্নাথ বলেন, “মুকুটকে মতুয়া সংগঠনে আগে দেখিনি। হঠাৎ সভাপতি হয়েছেন দেখলাম। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে মতুয়া সংগঠন করছেন তাঁরা এ দিনের কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। সেটা কী ভাবে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয় আমার মাথায় ঢুকলনা।” বগুলার অনুষ্ঠানের জন্য আবার মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত জগন্নাথ আমন্ত্রণ পাননি বলে জানিয়েছেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Ranaghat BJP Matuas
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy