নিজে রোজা রেখেছেন। কাঠের জ্বালানির পাশে বসে সকাল থেকে রান্না করেছেন বিরিয়ানি। দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে ইমামবাড়াতে রোজদারদের জন্য রান্না করছেন বছর সত্তরের আলাউদ্দিন শেখ। নবাব না থাকলেও নবাবিয়ানা বজায় রয়েছে আজও। প্রথা মেনে ২৮শে রোজার দিন দেওয়া হয় বিরিয়ানি। ইমামবাড়া সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদ শহরের দেড়শো দুঃস্থ পরিবারকে এই বিরিয়ানি দেওয়া হল এ দিন। ওয়াসিফ আলি মির্জার সময় থেকে এই প্রথার প্রচলন বলে জানা যায়। রাজ্য সরকারের আর্থিক সহায়তায় রমজান মাসের ৩০ দিন ইফতারি ও সেহরির রান্না হচ্ছে ইমামবাড়াতেই বলে জানা গিয়েছে।
মুর্শিদাবাদ এস্টেট ম্যানেজার বিপ্লব সরকার বলেন, ‘‘নবাবি আমলের ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। সরকারি সহায়তায় এই সমস্ত খরচ বহন করা হয়। এ দিন শতাধিক পরিবারকে বিরিয়ানি দেওয়া হয়।’’
ইমামবাড়ার দায়িত্বে থাকা কর্মী কাম্বার আলি বলেন, ‘‘প্রায় একশো বছর ধরে রীতি মেনে ১৫ তম রোজা ও ২৮ তম রোজার দিনে বিরিয়ানি বিতরণ করা হয়। বাকি দিনগুলিতে রুটি, ডাল দেওয়া হয় রোজদারদের। সেহরি ও ইফতারের সমস্ত রান্নাই হয় ইমামবাড়া থেকে।’’ বিরিয়ানি কারিগর আলাউদ্দিন শেখ বলেন, ‘‘৪৫ বছর ধরে আমি রান্না করছি। এ দিন সকাল সাতটা থেকেই রান্না শুরু করেছি। সকাল দশটার মধ্যেই বিরিয়ানি রান্না শেষ করেছি। তারপরে বেগুনি, ঘুগনি করেছি। দুপুর দুটো পর্যন্ত রান্না করেছি। অন্যান্য দিন,সকাল দশটা থেকে রান্না শুরু করি।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)