Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Illegal Sand Mining

ঘাটে নৌকা লাগিয়ে অবাধে বালি পাচার

স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই ঘাট থেকে ট্রাক্টর বোঝাই করে বালি চলে যাচ্ছে এলাকার বিভিন্ন বালি-পাথরের গোলায়। সেখান থেকে চলছে বিক্রিবাটা।

পলাশির তেজনগর ফেরিঘাটে নৌকা থেকে বালি খালি করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে।

পলাশির তেজনগর ফেরিঘাটে নৌকা থেকে বালি খালি করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে। নিজস্ব চিত্র।

সন্দীপ পাল
কালীগঞ্জ শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪ ০৮:২১
Share: Save:

প্রতি দিন সকালে গঙ্গায় নেমে যাচ্ছে একের পর এক নৌকা। ফিরছে রাতে। মাঝরাত থেকেই পারে নৌকা লাগিয়ে বালি খালি করা চলছে।
এটাই রোজকার চিত্র কালীগঞ্জের তেজনগর ঘাটে।

বৃহস্পতিবার দুপুর প্রায় ১টা। চোখে পড়ল, ফেরিঘাটের কাছেই পর পর দুটো বালি বোঝাই নৌকা দাঁড়িয়ে। পারে লাইন দিয়ে ট্রাক্টর। ঝুড়ি বোঝাই করে নৌকা থেকে ট্রাক্টরে বালি বোঝাই করছে মজুরেরা।

স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই ঘাট থেকে ট্রাক্টর বোঝাই করে বালি চলে যাচ্ছে এলাকার বিভিন্ন বালি-পাথরের গোলায়। সেখান থেকে চলছে বিক্রিবাটা। এ ভাবেই দিনের পর দিন দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে অবৈধ বালির কারবার চলছে বলে অভিযোগ। অথচ সকলেই কার্যত চোখ বুজে রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, পলাশি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তেজনগর ঘাটে ওই পঞ্চায়েতেরই দু’জন প্রকাশ্যে বেআইনি বালি কারবার চালাচ্ছে। কালীগঞ্জ ব্লকের এই ঘাটে অবশ্য এই কারবার নতুন কিছু নয়। আগেও একাধিক বার তা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তখন কিছুটা
হইচই, নড়াচড়া হলেও তার পরে ফের যে-কে-সেই।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে ঘাটের পারেই বালি মজুত করে রাখা হত। বর্তমানে সরসরি পৌঁছে যাচ্ছে বালির গোলায়। লাল বালি মূলত অজয় বা বাবলা নদীতে পাওয়া যায়। কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় ভাগীরথীর সঙ্গে অজয় মিশেছে, আবার মানিকডিহি ঘাটের অদূরে বাবলা মিশেছে ভাগীরথীর সঙ্গে। ফলে এই দুই নদীতে সহজেই নৌকায় যাতায়াত করা যায়।

নদী বিশেষজ্ঞদের মতে, নদীর যেখান-সেখান থেকে বালি তুললে বাঁধের ক্ষতি হতে পারে। নদীর গতিপথ বদলে গিয়ে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তবে সে সব নিয়ে কে-ই বা ভাবছে। নেতা-প্রশাসন কার্যত চোখ বুজে বসে আছে বলে অভিযোগ।

এ দিন কালীগঞ্জ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রে অবশ্য দাবি করা হয় যে তারা নিয়মিত অভিযান চালায়। ওই ঘাটের উপরেও তাদের নজর আছে। বেশ কিছু দিন ওই ঘাটে বালি তোলা বন্ধ ছিল। নির্বাচনের কাজে অফিসাররা ব্যস্ত হওয়ার সুযোগে আবার তা চালু হয়েছে। তা বন্ধ করতে আবার অভিযান চালানো হবে বলেও জানানো হয়েছে।

তবে তার আগে ‘পাখি উড়ে যাবে’ বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। এ প্রসঙ্গে
নদিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তারান্নুম সুলতানা মীর শুধু বলেন, “এই বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sand Mining Kaliganj
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE