—প্রতীকী চিত্র।
দাবি মতো ‘তোলা’ না পেয়ে ব্যবসায়ীর বাড়িতে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল নদিয়ার শান্তিপুরে। বাড়িতে ইট ছোড়ার পর মূল দরজা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে গয়না এবং তাঁতবস্ত্র লুট করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। গুলি চলার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
নদিয়ার শান্তিপুর থানার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কেনারাম রক্ষী পেশায় তাঁতের কাপড়ের ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ, শুক্রবার রাত আড়াইটে নাগাদ বাড়ির কাচের জানালা ভাঙার শব্দ পান। তার পরেই দরজায় জোরে জোরে ধাক্কা দেওয়ার শব্দ শোনেন। কিছু বুঝে ওঠার আগে দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে জনা কয়েক দুষ্কৃতী। তার পর তাঁর স্ত্রীর গলা থেকে একটি সোনার চেন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তার পর লুটপাট চলে। ওই ব্যবসায়ীর কথায়, ‘‘খাটের উপরে রাখা কয়েক হাজার টাকার শাড়ি লুট করে ওই দুষ্কৃতীরা।’’
মাঝ রাতে স্বামী-স্ত্রীর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা জড়ো হন। কিন্তু ভয়ে তাঁরা কেউ এগোতে পারেননি। কারণ, সেই সময় শূন্যে দু’রাউন্ড গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। তার পর সেখান থেকে পালিয়ে যায় তারা। এর পর স্থানীয় কাউন্সিলর প্রভাত বিশ্বাসকে ফোন করেন ওই ব্যবসায়ী। কাউন্সিলর বলেন, ‘‘গতকাল রাত দুটোর পর কেনারামবাবু আমায় ফোন করে বলেন, ওনার বাড়িতে ইটবৃষ্টি হচ্ছে। আমি থানার ওসিকে ফোন করি। তত ক্ষণে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গিয়েছে। মিনিট কুড়ির মধ্যে পুলিশও এসে যায়।’’
কাউন্সিলর আরও বলেন, ‘‘আমি শুনেছি, দুষ্কৃতীদের মধ্যে কেউ এক জন ওঁর (ব্যবসায়ীর) পরিচিত। এর আগে ওঁর কাছে তোলা চেয়েছিল তারা। উনি দিতে রাজি হননি। তার জেরেই হয়তো এই হামলা।’’ ওই ব্যবসায়ী জানান, এক বার নয়, তাঁর কাছে বার বার তোলা চাওয়া হত। তাঁর অভিযোগ, ‘‘দুষ্কৃতীরাও হুমকি দিত। ওদের মধ্যে দুই অভিযুক্তকে আমি চিনতে পেরেছি।’’ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে শান্তিপুর থানার পুলিশ একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তার তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy