Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Higher Education Department

প্রায় ৪ হাজার ছাত্রছাত্রী ভর্তি হননি

মুর্শিদাবাদ জেলায় ৩৪৬টি সরকারি ও সরকারপোষিত উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ২৫টি বেসরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ওই পড়ুয়ারা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

সামসুদ্দিন বিশ্বাস
বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪ ১০:৩৩
Share: Save:

প্রায় এক মাস আগে স্নাতকে ভর্তির জন্য কেন্দ্রীয় অভিন্ন পোর্টাল চালু করেছে উচ্চ শিক্ষা দফতর। কিন্তু গত এক মাসে সেই পোর্টালে ভর্তির আবেদনের গতি কম দেখে ওই দফতর নানা ভাবে সমীক্ষা চালাচ্ছে। কেন কলেজে ভর্তির আগ্রহ কম, তা জানতে উচ্চ শিক্ষা দফতরের নির্দেশে জেলা শিক্ষা বিভাগ স্কুলগুলি থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে।

এখনও পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে প্রায় চার হাজার উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ পড়ুয়া কলেজে ভর্তির জন্য পোর্টালে আবেদনই করেননি। কেন তাঁরা আবেদন করেননি, সেই তথ্যও তুলে ধরেছেন জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। চার হাজার পড়ুয়ার প্রত্যেকের নাম, বিদ্যালয়ের নাম, ভর্তির জন্য আবেদন না করার কারণ নির্দিষ্ট করে সেই তথ্য জেলা শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে স্কুলগুলি।

মুর্শিদাবাদ জেলায় ৩৪৬টি সরকারি ও সরকারপোষিত উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ২৫টি বেসরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ওই পড়ুয়ারা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন। ২৩ জুলাই পর্যন্ত পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী ৩ হাজার ৭৬৪ জন পড়ুয়া কলেজে ভর্তির পোর্টালে আবেদন করেননি। জেলা শিক্ষা বিভাগ সূত্রের খবর, আবেদন না করার নানা কারণ রয়েছে। আর পড়াশোনার ইচ্ছা নেই কিংবা কাজে যুক্ত হয়ে পড়েছেন বলে অনেকে আবেদন করেননি। অনেকে আর্থিক সমস্যায় বা বাইরে রাজ্যে ভর্তি হওয়ায় আবেদন করেননি। গত ১৩-২৩ জুলাই পর্যন্ত নেওয়া তথ্য জমা পড়েছেতাদের কাছে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অমরকুমার শীল বিষয়টি উচ্চ শিক্ষা দফতরের বলে এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তবে জেলা শিক্ষা বিভাগের এক আধিকারিক জানান, বহু পড়ুয়া উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেও কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করেননি। তাঁদের ভর্তি করানোর জন্য উচ্চ শিক্ষা দফতর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে। এর আগে পড়ুয়াদের কাছে বিদ্যালয়গুলি ফোন করে করে তথ্য সংগ্রহ করছিল। এ বার ‘গুগল শিটে’ তথ্য দিতে হচ্ছে।

বহরমপুরের হিকমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের বিদ্যালয়ে ১১ জন উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ পড়ুয়া এখনও ভর্তির জন্য আবেদন করেনি। কয়েক জন ভিন রাজ্যে কাজে গিয়েছে, কয়েক জনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আবার কেউ কেউ আর পড়তে চায় না। সেই রিপোর্ট আমরা শিক্ষা দফতরে জানিয়েছি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Berhampore
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy