—প্রতীকী চিত্র
শমসেরগঞ্জের ডিবিএস হাই মাদ্রাসা থেকে সরিয়ে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে মুর্শিদাবাদের যে কোনও হাই মাদ্রাসায় সমপদে নিয়োগ করতে রাজ্য মাদ্রাসা বোর্ডের সচিবকে নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মন্থা। নির্দেশে বলা হয়েছে, যত দিন পর্যন্ত সেই নিয়োগ না হচ্ছে ততদিন প্রধান শিক্ষকের ডিবিএস হাই মাদ্রাসায় যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে যথারীতি তাঁর বেতনও মিটিয়ে দিতে হবে। সেই সঙ্গে মাদ্রাসা বোর্ডকেও যত দ্রুত সম্ভব ওই ডিবিএস হাই মাদ্রাসায় নির্বাচন করিয়ে নতুন পরিচালন সমিতি গঠন করতে হবে।
গত ৫ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মন্থা শমসেরগঞ্জ থানার পুলিশকে নির্দেশ দেন প্রধান শিক্ষককে ডিবিএস হাই মাদ্রাসায় যথোপযুক্ত নিরাপত্তা দিয়ে ঢুকিয়ে তিনি যাতে কাজ করতে পারেন তার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে। সেই নির্দেশ মতো ১২ ডিসেম্বর দুপুরে শমসেরগঞ্জের ওসি প্রধান শিক্ষককে নিয়ে হাইমাদ্রাসায় ঢুকলে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চলে ওই হাই মাদ্রাসায়।
পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে প্রধান শিক্ষককে হাই মাদ্রাসায় ঢুকতে দেখেই উত্তেজিত ছাত্র, অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজনের একাংশ স্কুলভবনের দরজা, জানলা ভাঙচুর করে। পুলিশের উপরে হামলা হয়। পাল্টা পুলিশও লাঠিচার্জ করে, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। ভাঙচুর হয় পুলিশের পাঁচটি গাড়ি। জখম হন জঙ্গিপুরের এসডিপিও-সহ চার পুলিশকর্মী। ওই ঘটনায় পুলিশ বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করে। তবে শেষ পর্যন্ত প্রধান শিক্ষককে নিয়ে স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয় পুলিশ।
গত ২০ ডিসেম্বর ফের মামলাটি হাইকোর্টে ওঠে। পুলিশের দেওয়া রিপোর্টে বিক্ষোভকারীদের হামলার ঘটনায় ‘হতবাক’ বিচারপতি শমসেরগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন, ওই হামলার প্রেক্ষিতে রুজু করা মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যেন যথোপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
২০১৪ সালের মার্চে প্রধান শিক্ষক পদে ওই মাদ্রাসায় যোগ দেন রফিকুল ইসলাম। কিছু দিনের মধ্যে তৎকালীন পরিচালন সমিতির সঙ্গে বিবাদ বাধে প্রধান শিক্ষকের। তাঁকে একাধিক বার শো-কজের পরে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত হলে প্রধান শিক্ষক কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। পরে স্কুলে ঢুকতে পারলেও বিবাদ মেটেনি। এমনকি মেয়াদ ফুরোলেও পরে পরিচালন সমিতির নির্বাচনও করা যায়নি ওই মাদ্রাসায়। বর্তমানে ধুলিয়ানের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক ওই মাদ্রাসার প্রশাসক।
প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, “হাইকোর্টের রায়ের কপি পেয়েছি। আমাকে একই পদে জেলার অন্য কোনও মাদ্রাসায় নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। আশা করছি, রায় মোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারিকেরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy