ফানুস
বৃষ্টিতে চুপসে গেল ফানুস!
বুধবার রাত থেকে বহরমপুর-সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি। বিরামহীন সেই বৃষ্টি বৃহস্পতিবারেও থামেনি।
ফলে কান্দি, বহরমপুর, বেলডাঙা, লালবাগ, জিয়াগঞ্জ, রঘুনাথগঞ্জ, ইসলামপুর, ডোমকল, জলঙ্গি ভগবানগোলা, লালগোলার ব্যবসায়ীদের একাংশ যাঁরা ফানুসের উপরে ভরসা রেখে আর্থিক দিক থেকে লাভবান হবেন ভেবেছিলেন, তাঁদের সেই ভাবনায় জল ঢেলেছে হেমন্তের অকালবৃষ্টি।
চিনের তৈরি ওই ফানুস, যার পোশাকি নাম ‘স্কাই ল্যান্টার্ন্স’ বা আকাশ-লণ্ঠন, যা রাতের আকাশে ওড়াতে হালফিলে কচিকাঁচাদের পাশাপাশি বড়রাও আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। ফলে গত দু’বছরে ফানুসের চাহিদা বেড়েছে আকাশছোঁয়া। সেই চাহিদা মেটাতে জেলার এক শ্রেণির ব্যবসায়ী ফানুস কিনে দোকান ভরে তুলেছিলেন। তাঁদের এখন কপালে ভাঁজ পড়েছে। কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগে সেই ফানুস শেষ পর্যন্ত আকাশ ছুঁতে পারবে কি না, তা নিয়ে চিন্তিত ব্যবসায়ীরা।
কান্দি বাজারের এক বাজি ব্যবসায়ী বাবু সেন বলছেন, “আতসবাজির সঙ্গে মোটা টাকার ফানুস কিনে রেখেছিলাম। মানুষের চাহিদাও ছিল। এখন বৃষ্টি না থামলে ফানুস কিনবে কারা?’’ তাঁর আশঙ্কা, এখন আকাশের যা অবস্থা, তাতে ওই ফানুস ঘরেই পড়ে থাকবে।
কালীপুজো উপলক্ষে বহরমপুরের বিভিন্ন খোলা বাজারে বাজি-পটকার দোকানেই বিক্রি হচ্ছে ফানুস। এমনই এক ফানুস বিক্রেতা জানান, গত বছরেও বহরমপুরে ফানুস বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এত অল্প পরিমাণে এসেছিল যে দ্রুত বিক্রি হয়ে যায়। ফানুস কিনতে না পেরে অনেকেই হতাশ হয়ে ফিরে যান। ফলে তখনই বুঝেছিলাম ফানুসের চাহিদা রয়েছে। তাই এ বছর আগে থেকেই বেশি পরিমাণে ফানুস কলকাতা থেকে কিনে দোকানে মজুত করেছি। কিন্তু এখন কী করব কিছুই বুঝতে পারছি না!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy