আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মহা মিছিল বেলডাঙার দেবকুণ্ডু সেখ আব্দুর রাজ্জাক মেমোরিয়াল গার্লস হাই মাদ্রাসার ছাত্রীদের। ছবি : সেবাব্রত মুখোপাধ্যায়।
আর জি কর কাণ্ডের পর কেটে গিয়েছে প্রায় এক মাস। তারপরেও জেলার বিভিন্ন হাসপাতালের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। জেলার অধিকাংশ প্রাথমিক, ব্লক প্রাথমিক, গ্রামীণ হাসপাতাল গুলিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই বলে দাবি চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশের। কিছু ব্লক প্রাথমিক, গ্রামীণ হাসপাতালে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো থাকলেও রাতের বেলায় থাকে না কোনও নিরাপত্তারক্ষী। আর জি কর কাণ্ডের পর স্বভাবতই আতঙ্কের মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে বলে দাবি নার্স সহ মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের।
হরিহরপাড়ার ব্যস্ততম হাসপাতাল হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। হরিহরপাড়ার পাশাপাশি নওদা, দৌলতাবাদ, ডোমকলের বিভিন্ন এলাকার মানুষ এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, আউটডোরের সময় থেকে রাত আটটা পর্যন্ত হাসপাতালে দু'জন সিভিক ভলান্টিয়ার থাকেন। তবে রাতের বেলা কোনও নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা নেই বলে দাবি চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশের। হাসপাতালের চিকিৎসক দোলা রায় বলেন, “রাতের বেলায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি। রাতের বেলা নিরাপত্তারক্ষী বা পুলিশের ব্যবস্থার পাশাপাশি পর্যাপ্ত আলো, অ্যালার্ম-এর ব্যবস্থা করাটা জরুরি।”
তাঁর মতে, হাসপাতালে রাতের বেলা দু-এক জন স্বাস্থ্যকর্মী, দু'জন নার্সকে ডিউটি করতে হয়। অনেক সময় রোগীর আত্মীয়েরা নানা কারণে দুর্ব্যবহার করেন। অনেকে মদ্যপ অবস্থায় হাসপাতালে আসেন। ওই হাসপাতালের এক নার্স বলেন, “রাতের বেলা ভয়কে সঙ্গী করেই কাজ করতে হয়।” তবে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মুহাম্মদ সাফির দাবি, হাসপাতালে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে, অতিরিক্ত আলো লাগানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। হাসপাতালে একটি পুলিশ ক্যাম্প করা হবে সেখানে সর্বক্ষণের জন্য পুলিশ কর্মী থাকবেন। নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা জোর দিচ্ছি।” তা ছাড়া হাসপাতালে আগে থেকেই চিকিৎসক, নার্স সহ অন্য কর্মীদের আলাদা কেবিন রয়েছে বলে দাবি তাঁর।
বহড়ান প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পাটিকাবাড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মতো অনেক হাসপাতালে রাতের বেলা পুলিশকর্মী থাকেন না বলে দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy