কীটনাশক খেয়ে তাঁরা একসঙ্গে আত্মঘাতী হতে চেয়েছিলেন। খেয়েও ফেলেছিলেন। মেয়েটিকে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেলেও মৃত্যু হয়েছে বছর উনিশের সমর হীরার।
বৃহস্পতিবার সকালে একটি মাঠের ভিতর থেকে দু’জনকে উদ্ধার করে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্থানীয় মানুষ। সেখানেই মৃত্যু হয় বগুলা শ্রীকৃষ্ণ কলেজের ওই ছাত্রের। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় নবম শ্রেণীর ছাত্রীটিকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে রেফার করায় হয়। আপাতত সেখানেই সে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সমরের বাড়ি হাঁসখালির মুড়াগাছা কলোনিতে। আর ছাত্রীটি থাকে নিধিরপোতা এলাকায়। মাস দশেক আগে এলাকায় একটি মেলায় তাদের আলাপ। দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। মেয়েটির বাবা কর্মসূত্রে মহারাষ্ট্রে থাকেন। মা-ও সেখানেই থাকেন। এখানে ঠাকুমার কাছে থাকে সে। দিন কয়েক আগে মা এসেছেন। তাদের সম্পর্কের কথা জানাজানি হওয়ায় কোনও পরিবারই মেনে নেয়নি। সেই কারণেই তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় বলে প্রাথমিক তদন্তে
পুলিশের অনুমান।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সমর নিধিরপোতায় আসে। ফোন করে মেয়েটিকে ডেকে আনে গ্রামের মাঠে। সেখানে তারা দু’জনে মিলে কীটনাশক খায়। সারারাত দু’জনের কেউ বাড়ি না ফেরায় দুই পরিবার থেকেই খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকালে মাঠে কাজ করতে যাওয়ার সময় গ্রামের লোক দু’জনকে পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁরাই দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে ছাত্রীটি বলে, “আমাদের পরিবার সম্পর্কটা মেনে নেয়নি। সমর সেটা মেনে নিতে পারছিল না। কাল রাতে সে আমাকে ফোন করে। রাতে আমি যেতে না চাওয়ায় বলে যে, সে তা হলে বিষ খাবে। তাই আমি মাঠে যাই।” তার কথায়, “সমর বলেছিল, আলাদা হয়ে যাওয়ার থেকে মরে যাওয়াই ভাল। সঙ্গে করে বিষ নিয়েই এসেছিল। প্রথমে আমাকে ঢাকনায় করে খাইয়ে দিয়ে তার পর ও নিজে খায়।” যদিও সমরের পরিবারের দাবি, তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কারণ আছে বলে মনে করছেন তাঁরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy