বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয় একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। প্রতীকী চিত্র।
একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর প্রণয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল এক কলেজ পড়ুয়া যুবকের সঙ্গে। তাদের শারীরিক সম্পর্কের কথা জানতে পারে পরিবার। তার পরেই প্রেমিক আর সম্পর্ক রাখতে চাননি বলে অভিযোগ। ছাত্রীর অকস্মাৎ মৃত্যুর ঘটনায় ওই কলেজ পড়ুয়া যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করল পরিবার। নদিয়ার রানাঘাটের পাঁচবেড়িয়ার ঘটনা।
কোয়েল সুর নামে ওই ছাত্রীর সঙ্গে ২৪ বছরের কলেজ পড়ুয়া সুমিত লস্করের সস্পর্ক ছিল বলে দাবি পরিবারের। সুমিত বহিরগাছি শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা। কোয়েলের পরিবারের দাবি, সুমিতের সঙ্গে তাদের মেয়ের সম্পর্ক প্রায় তিন বছরের। তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। এই বিষয়টি তারা জানতে পেরে সুমিতকে বিয়ের জন্য অনুরোধ করেন তাঁরা। কিন্তু কোয়েলকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন যুবক। ছাত্রীর ঠাকুমার দাবি, উল্টে অন্যত্র বিয়ের জন্য সম্বন্ধ দেখা শুরু করেন সুমিত। তাঁর নাতনি এই খবর জানতে পেরেই গত ১৭ অগস্ট রাতে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তড়িঘড়ি তাকে রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরে কল্যাণী জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু পরের দিন তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় ধানতলায থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন মৃতার ঠাকুমা। রবিবার ময়নাতদন্তের পর পাঁচবেড়িয়ার বাড়িতে ছাত্রীর দেহ পৌঁছলে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবার পরিজন। পরিবারের তরফে সুমিতের শাস্তির দাবি করা হয়েছে। কোয়েলের ঠাকুমার কথায়, ‘‘ওদের সম্পর্কের কথা শুনে আপত্তি করেছিলাম। নাতনি কিছুতেই যখন শুনল না, তখন বিয়ের প্রস্তাব দিই ওদের। কিন্তু ছেলেটি বিয়ে করতে অস্বীকার করায় এই মানসিক ধাক্কা মেনে নিতে পারেনি কোয়েল।’’ মৃতার পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও অভিযুক্ত যুবক পলাতক। তাঁর কাকা রবীন লস্কর স্বীকার করেছেন, কোয়েলের সঙ্গে ভাইপোর সম্পর্ক ছিল। তবে এর বেশি তাঁরা কিচ্ছু জানেন না বলে দাবি করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy