সারাই: ফেলা হচ্ছে বালির বস্তা। শান্তিপুরের ঘাটে। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
ভাঙনের জেরে ফেরি চলাচল বন্ধই রইল শান্তিপুর গুপ্তিপাড়া ঘাটে। তবে রবিবার থেকেই ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকায় ভাঙন রোধে কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর।
শনিবার সকালে ভাঙনের জেরে শান্তিপুর-গুপ্তিপাড়া ফেরিঘাটে জেটির স্তম্ভ সংলগ্ন মাটি ধসে যায়। তার জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয় শান্তিপুর থেকে গুপ্তিপাড়া ফেরি চলাচল। প্রতি দিন এই ফেরিঘাট মারফত নদিয়া এবং হুগলির মধ্যে প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। দু’টি জলযান যাতায়াত করে। এ ছাড়াও যানবাহন পারাপারের জন্য রয়েছে ভেসেল। মাছ থেকে শুরু করে আনাজ ও নানা জিনিস হুগলি থেকে জলপথে আসে এ পারে।
এ ছাড়াও ব্যবসায়িক এবং অন্য নানা দরকারে দুই জেলার বাসিন্দারা এই পথ ব্যবহার করেন। শান্তিপুরে কাপড়ের হাটেও আসেন হুগলি থেকে অনেকে। ও পারে গুপ্তিপাড়া পৌঁছে হুগলি এবং পূর্ব বর্ধমানের নানা জায়গায় যাওয়ার সুবিধা রয়েছে। শান্তিপুরের এই ফেরিঘাট ছাড়াও রানাঘাট ১ ব্লকের সাহেবডাঙা বলাগড় ঘাট ও কল্যানী ব্লকের শিবতলা ঘাটের মতো জায়গা দিয়ে হুগলি জেলায় যাওয়ার সুবিধা রয়েছে। শান্তিপুরের এই ফেরিঘাট অবস্থানগত কারণে গুরুত্বপূর্ণ এবং এখান দিয়ে প্রতি দিন প্রচুর সংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করেন।
প্রাথমিক ভাবে ভেসেল মারফত যাত্রী পারাপারের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হলেও ঝুঁকি না নিয়ে তা বন্ধ রাখা হয়েছে। শান্তিপুরের পুরপ্রধান অজয় দে বলেন, “ভাঙনের পরে ওখানকার যা অবস্থা হয়ে রয়েছে, তাতে ঝুঁকি না নিয়ে ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে পরিবহণ দফতরের নির্দেশে। সেচ দফতর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে। আশা করছি, দ্রুত ফেরি চলাচল শুরু করা যাবে।”
পুজোর মুখে এই ঘটনায় বিপাকে পড়ে গিয়েছেন যাত্রী থেকে শুরু করে ঘাটের কর্মী সকলেই। ফেরিঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী বিকাশ সাহা বলেন, “প্রতি দিন যে কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন, তাঁরা যেমন সমস্যায় পড়লেন তেমনই এই ফেরিঘাটের সঙ্গে যুক্ত মাঝি-কর্মী সব মিলিয়ে জনা ৩৪ কর্মীও সমস্যার মুখে পড়লেন এই সময়ে তাঁদের কাজ বন্ধ হওয়ায়।”
রবিবার সেচ দফতরের কর্তারা ভাঙন কবলিত এলাকায় যান। ভাঙন প্রতিরোধের কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর। ফেরিঘাট সংলগ্ন প্রায় ২৫ মিটার এলাকা জুড়ে শনিবার ধস নেমেছিল। সেই ধসে তলিয়ে যায় একটি বড় গাছও। ধসে গিয়েছে জেটি সংলগ্ন মাটিও। এই সমস্ত জায়গায় বালির বস্তা দিয়ে প্রাথমিক ভাবে কাজ শুরু হয়েছে। রবিবারও বৃষ্টি হয়েছে। তবে নতুন করে আর ভাঙন হয়নি এই এলাকায়। গোটা পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখছে সেচ দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy