Advertisement
২০ ডিসেম্বর ২০২৪
Suspected Terrorist Arrested

মিনারুলের গ্রেফতারে অবাক পরিবার, মাগুড়ার গ্রামবাসীও

মাগুড়া গ্রামের বাসিন্দা বছর চুয়াল্লিশের মিনারুল শেখ পেশায় পাম্পসেট সারাইয়ের মিস্ত্রি। পরিবারের লোকেদের দাবি তিনি নিরক্ষর।

মিনারুল শএখ।

মিনারুল শএখ। নিজস্ব চিত্র।

শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:৪২
Share: Save:

জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িত থাকার সন্দেহে হরিহরপাড়ার মাগুড়া গ্রামের বাসিন্দা মিনারুল শেখ ও নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্বাস আলিকে গ্রেফতার করেছে অসম পুলিশ। অসম এসটিএফের একটি দল বুধবার ভোরে অভিযান চালায় ওই দুই এলাকায়। রাজ্য এসটিএফ ও জেলা পুলিশের বিশেষ দল ওই দুই এলাকায় অভিযানে ছিল। তাদের গ্রেফতারের পাশাপাশি তাদের হেফাজত থেকে মোবাইল ফোন, পেনড্রাইভ, নথিপত্র, কিছু বই বাজেয়াপ্ত করেছে অসম এসটিএফ।

মাগুড়া গ্রামের বাসিন্দা বছর চুয়াল্লিশের মিনারুল শেখ পেশায় পাম্পসেট সারাইয়ের মিস্ত্রি। পরিবারের লোকেদের দাবি তিনি নিরক্ষর। পরিবারের লোকেদের দাবি, নিজের কাজ, চাষাবাদ নিয়েই তিনি ব্যস্ত থাকতেন। দুই ছেলে মিনারুলের। বছর তেরোর ছোট ছেলেকে মাস কয়েক আগে বারুইপাড়া এলাকার একটি বেসরকারি মাদ্রাসায় ভর্তি করেন তিনি। এসটিএফের হাতে ধৃত আব্বাস আলি ওই মাদ্রাসা চালাতেন। ছেলেকে মাদ্রাসায় ভর্তির পরে আব্বাসের সঙ্গে মিনারুলের যোগাযোগ তৈরি হয় বলে পরিবারের লোকেদের দাবি।

তবে গ্রামের মানুষ খুবই অবাক। বিশেষ করে মিনারুল কোনও জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িত থাকতে পারে বলে বিশ্বাসই হচ্ছে না অনেকের।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অসম এসটিএফের দায়ের করা দেশদ্রোহাতা, পাশপোর্ট আইনে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। মিনারুলের পরিবারের লোকেদের দাবি, মিনারুলের কোনও পাশপোর্টই নেই। মিনারুলের স্ত্রী টগরা বিবি বলেন, “আমার স্বামী পাশপোর্ট জালিয়াতি বা জাল পাসপোর্ট তৈরি চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা তো দূরের কথা তাঁর কোনও পাসপোর্টই নেই। তিনি লেখাপড়াও জানেন না। অন্য রাজ্যের পুলিশ তাকে কেন গ্রেফতার করে নিয়ে গেল বুঝতে পারছি না।” মিনারুলের বাবা ইমাজুদ্দিন শেখ বলেন, “আমার ছেলে নির্দোষ। ও কোনও ঝামেলার মধ্যে থাকে না। পুলিশ ভাল করে খোঁজ নিক।” মিনারুল দেশদ্রোহীতা, জঙ্গি কার্যকলাপ বা অন্য কোনও খারাপ কাজের সঙ্গে জড়িত, তা মানতে পারছেন না প্রতিবেশীরাও। এলাকায় প্রবীণ মানুষ সামসুল শেখ বলেন, “ভিন রাজ্যের পুলিশ কোন অপরাধে ধরে নিয়ে গেল বুঝতে পারছি না। ও তো এমন ছেলে নয়।” মিনারুল ও তাঁর পরিবার দীর্ঘ দিন ধরে গ্রামেই বসবাস করেন বলে দাবি স্থানীয়দের।

আব্বাস আলি গ্রেফতারের পরই তার বাড়ি কিন্তু ফাঁকা। বৃহস্পতিবার তার বাড়িতে স্ত্রী, ছেলে, বাবা, মা কাউকেই দেখা যায়নি। প্রতিবেশীদের দাবি, তিনি মাস কয়েক ধরে বারুইপাড়া এলাকায় একটি মাদ্রাসা চালাতেন। বছর কয়েক আগে অন্য একটি মামলায় আব্বাস জেল খেটেছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Hariharpara
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy