সাকুল্যে দু’শো টাকা, আর তা না দেওয়ায় হাতুড়ি দিয়ে থেঁতলে গ্রিল কারখানার মালিককে খুন করল ওই কারখানারই এক কর্মী।
রবিবার দুপুরে, সালারের হাটপিলখুন্ডি গ্রামে রেজাউল খান (২৫) নামে ওই গ্রিল কারখানার মালিককে খুনের পরে পালানোর চেষ্টা করেছিল অভিযুক্ত ইউনিস খান, তবে পুলিশ তাকে গ্রামের রাস্তা থেকেই গ্রেফতার করে। নিয়মিত না হলেও রেজাউলের কারখানায় কাজ করত ইউনিস। রবিবারও ছিল তেমনই একটি দিন। সকাল থেকেই ইউনুস গ্রিলের পাতি কাটছিল। তবে এ দিন কারখানায় এসেই সে রেজাউলকে তার পাওনা দু’শো টাকা চেয়েছিল। কারখানার অন্য কর্মীরা জানান, সকাল থেকে বার বার টাকা চাওয়ায় এক সময়ে বিরক্ত হয়ে রেজাউল ঝাঁঝিয়ে ওঠেন, ‘এমন করলে দেব না!’ কাল হয় তাতেই। হাতুড়ি নিয়ে সটান রেজাউলের মাথায় চালিয়ে দেয় সে।
গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে প্রথমে সালার গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থা ক্রমেই খারাপ হতে থাকায় তাঁর পরিবারের লোকজন রেজাউলকে নিয়ে যান কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। তবে সেখানে পৌঁছনোর কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান রেজাউল। রেজাউলের মা রেজিনা বিবি পুলিশের কাছে পরিকল্পিত ভাবে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। রেজিনা বলেন, “ইউনুস আমার ছেলের কারখানায় কাজ করত। বড্ড মাথা গরম, প্রায়ই ছেলের সঙ্গে অশান্তি করত। পুরনো রাগ থেকেই ছেলেকে পরিকল্পনা করে ও খুন করেছে।’’ এলাকার বাসিন্দারা অবশ্য জানান, মানসিক ভাবে তেমন সুস্থ নয় ইউনিস। অকারণে উত্তেজিত হয়ে পড়া তার স্বভাব। এ দিনও রেজাউলের সঙ্গে দু’শো টাকা নিয়ে ঘ্যানঘ্যান করার ফাঁকেই উত্তেজিত হয়ে পড়ে সে। তার পরই হাতুড়ি দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করে রেজাউলের। পুলিশ অবশ্য খানিক দূরে গ্রামের রাস্তা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গ্রামের কাছেই রাস্তা ধরে ইউনিসকে ছুটতে দেখে সকলের সন্দেহ হয়। পুলিশ গিয়ে গ্রাম থেকেই তাকে ধরে ফেলে। জেলা পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, ‘‘অভিযুক্তকে গ্রাম থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। খুনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy