Advertisement
E-Paper

ইসকনের ফটক পর্যন্ত হল উচ্ছেদ

জুলাই মাসের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে ফুটপাত ও রাস্তা থেকে জবরদখল হটাতে অভিযানে নেমেছিল প্রশাসন।

মায়াপুরে উচ্ছেদ। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

মায়াপুরে উচ্ছেদ। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র photopranab@gmail.com

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৪ ০৮:১৬
Share
Save

কথা ছিল, রথযাত্রার পর রাস্তা থেকে অস্থায়ী স্টল বা দোকানের অংশ সরিয়ে নেবেন ব্যবসায়ীরা। কেউ কেউ সরালেও অনেকেই তা সরাননি। ৩১ জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার প্রশাসনের তরফে জবরদখল হটাতে অভিযান হল মায়াপুরে। গৌরনগর থেকে ইসকন মন্দিরের প্রধান ফটক পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে প্রায় ৭০টি দোকানের বর্ধিত অংশ ও অস্থায়ী কাঠামো পেলোডার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হল।

জুলাই মাসের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে ফুটপাত ও রাস্তা থেকে জবরদখল হটাতে অভিযানে নেমেছিল প্রশাসন। মায়াপুর পঞ্চায়েত এবং নবদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির কাছে ব্যবসায়ীরা অনুরোধ করেছিলেন রথযাত্রা পর্যন্ত সময় দিতে। রথ মায়াপুরের ব্যবসায়ীদের কাছে ভাল মরসুম। কিন্তু রথ মেটার পরেও অনেক দোকানদার দখল করা জায়গা থেকে সরেননি। তাই এ বার মায়াপুর রোড দখলমুক্ত করতে ময়দানে নেমেছে প্রশাসন।

পর্যটনকেন্দ্র মায়াপুরে প্রধান রাস্তা একটিই। জলঙ্গি পারের হুলোর ঘাট থেকে যা বরাবর চলে গিয়েছে জাতীয় সড়ক পর্যন্ত। ওই পাশেই অবস্থিত ইসকন-সহ মায়াপুরের যাবতীয় মঠ-মন্দির, হোটেল, অতিথিশালা। গৌরনগর থেকে হুলোর ঘাট পর্যন্ত রাস্তার দু’ধার জবরদখল করে কয়েকশো দোকান তৈরি হয়েছে। এ দিন দেখা যায়, রাস্তার উপর বেশ কিছু অস্থায়ী গুমটি ফাঁকা পড়ে আছে। দোকানি মালপত্র সরিয়ে নিলেও গুমটি সরাননি। সেগুলি ভেঙে দেওয়া হয়। বেশির ভাগ স্থায়ী দোকান সামনের রাস্তায় এগিয়ে এসেছিল, ভেঙে দেওয়া হয় সেগুলির বর্ধিত অংশ।

তবে এখনও ইসকন মন্দিরের পর থেকে হুলোর ঘাট পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে কমবেশি তিনশো দোকান রয়ে গিয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, সেগুলিও পর্যায়ক্রমে সরিয়ে দেওয়া হবে। নবদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন, “ওই তিনশো দোকানদারের উপার্জনের পথ যাতে বন্ধ না হয় সে জন্য নবদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতি পুনর্বাসন দিতে প্রস্তুত। কিন্তু আমাদের নিজেদের জায়গা নেই। রাস্তার দু’পাশে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের প্রচুর জমি ফাঁকা পড়ে আছে। প্রায় ৬০-৭০ ফুট করে। আমরা তাঁদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। ওই জমির কিছুটা ব্যবহার করার অনুমতি পেলে দোকানদারের স্থায়ী পুনর্বাসন এবং টোটো স্ট্যান্ড করে দেওয়া হবে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Mayapur

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}