Advertisement
E-Paper

টানা প্রায় দু’মাস ছুটি নিয়ে চিন্তায় শিক্ষাবিদেরা

এবিটিএ-র জেলা সভাপতি জুলফিকার আলির মতে, “সরকারি স্কুল বন্ধ।কারণ সেখানে গরম বেশি। জেলার সমস্ত বেসরকারি স্কুল খোলা।

প্রায় দুই মাস ধরে বন্ধ স্কুল।

প্রায় দুই মাস ধরে বন্ধ স্কুল। প্রতীকী চিত্র।

বিমান হাজরা

শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২৩ ০৮:২৮
Share
Save

ফের পাঠশালা বন্ধ। সব মিলিয়ে টানা প্রায় দু’মাস। জেলার শিক্ষাবিদদের দাবি, ধারাবাহিক স্কুল-ছুটির কারণে ফের স্কুলগুলিতে বিপাকে পড়ল ছাত্রছাত্রীরা। প্রায় দু’মাস ছুটি চলছে, মাধ্যমিক পরীক্ষা এগিয়ে এসেছে এক মাস, হবে ফেব্রুয়ারিতে। এর মধ্যে আছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সব মিলিয়ে ২২০ থেকে এ বার সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে পঠনপাঠন কমে আসবে ১০০ দিনে। স্বভাবতই ছুটির গুঁতোয় মাথায় হাত পড়েছে ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের।

এবিটিএ-র জেলা সভাপতি জুলফিকার আলির মতে, “সরকারি স্কুল বন্ধ।কারণ সেখানে গরম বেশি। জেলার সমস্ত বেসরকারি স্কুল খোলা। সেখানে গরম কম? গরমের জন্য যাদের পাঠশালা বন্ধ তারা কিন্তু গ্রামাঞ্চলে মাঠের জমিতে দিব্যি কাজ করছে। মাধ্যমিকের ফল এ বার খুব খারাপ হয়েছে। তা দেখেও রাজ্য সরকার কোনও শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে কথা না বলে ছুটি বাড়ালেন। অথচ এই সময় দিব্যি সকালে স্কুল চালানো যেত।”

তিনি বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে এ বার মাধ্যমিক। এগিয়ে এসেছে এক মাস।স্কুলগুলিতেই পরীক্ষাকেন্দ্র, তাতেও পঠনপাঠন বন্ধ ১৫ দিন। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার উপর বাড়তি ২ মাস ছুটি। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে গ্রামীণ ছেলেমেয়েদের। সেখানে টিউশনের কোনও বালাই নেই। নির্ভরতা সরকারি স্কুলগুলির উপরেই। ২২০ দিনের কর্মদিবস কমে আসবে ১০০ দিনে। তাই সরকারি স্কুল ছেড়ে বেসরকারি স্কুলে চলে যেতে শুরু করেছে ছাত্রছাত্রীরা।স্কুল বিমুখ হয়ে স্কুলছুট বাড়ছে।”

তৃণমূলের মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নেতা শেখ মহম্মদ ফুরকান বলেন, “সকালে স্কুলটা করা যেত অনায়াসে। তা ছাড়া ছুটির দু’মাস মিড ডে মিল বন্ধ। গ্রামাঞ্চলে এর প্রভাব পড়ছে তো বটেই।”

সাগরদিঘি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তামিজুদ্দিন মল্লিকও বলেন, “গ্রামেই ক্ষতি বেশি। আমরা লকডাউনের পর ছেলেমেয়েদের স্কুলমুখী করতে উদ্যোগী হয়েছিলাম। ভাল সাড়াও মিলেছিল। কিন্তু এত ছুটির পর তাদের আর স্কুলে ফিরিয়ে আনতে সমস্যা হচ্ছে। নবম দশমের ছেলেরা গ্রামে শ্রমিকের কাজ করছে ভরদুপুরে। ইটভাটায় যাচ্ছে। অফিস, আদালত, বাস-ট্রেন, বাজার, হাট সব চলছে।”

ছাবঘাটি হাইস্কুলে এ বার প্রায় ১০ হাজার ছাত্রছাত্রী। স্কুলের প্রধান শিক্ষক কৌশিক দাস বলছেন, “৯০ শতাংশের বেশি বিড়ি শ্রমিক ও দিনমজুর।সরকারি স্কুলই এদের ভরসা। এ ভাবে ছুটি বাড়ানো হলে পরবর্তীতে মাধ্যমিকে ফলাফল খারাপ হতে বাধ্য।”

প্রধান শিক্ষক অ্যাডভান্স সোসাইটির রাজ্যের সহ সভাপতি বিরাট বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, সরকারি স্কুলগুলিতে পঠন পাঠনের দিন ২০০তে নিয়ে যেতে হবেই। অথচ হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ দিন। সকালে স্কুল করা যেতে পারে।’’

Jangipur Summer Vacation

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}