হরিহরপাড়ার কলেজে গোলমাল। নিজস্ব চিত্র
পরীক্ষাকেন্দ্রের মধ্যেই ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে দিতে হবে বলে দাবি করেন বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী। সেই আব্দারে সাড়া না দেওয়ায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল হরিহরপাড়া হাজি এ কে খান কলেজ। কলেজের শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মীদের হেনস্থা করা হয়। কলেজের আসবাবপত্র ভাঙচুরও করা হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গন্ডগোলের পরে পরীক্ষা না দিয়েই বাড়ি ফিরে যান ৪০৩ জন পরীক্ষার্থী।
হাজি একে খান কলেজে চলছিল কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ প্রথম বর্ষের প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষা। কলেজে সিট পড়েছিল আমতলা যতীন্দ্র রাজেন্দ্র মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের। শুক্রবার ছিল পাশ কোর্সের ইংরেজি পরীক্ষা। সকাল সাড়ে দশটায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল, ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না বলে জানিয়ে দিতেই যতীন্দ্র রাজেন্দ্র মহাবিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। শুরু হয় ভাঙচুর। তবে তার পরেও কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা দিতে অনুরোধ করেছিলেন। অনুরোধ না মেনে পরীক্ষা দেওয়া থেকে বিরত থাকেন ৪০৩ জন পরীক্ষার্থী।
পরীক্ষার্থীদের একাংশের অভিযোগ, প্রথম দিকে মোবাইল, ব্যাগ নিয়েই পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিতেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে হলের বাইরে মোবাইল বন্ধ করে দিতে হত। এ দিন কলেজ কর্তৃপক্ষ মোবাইল নিয়েই যেতে দেননি। খোস মহম্মদ নামে এক পরিক্ষার্থী বলেন, ‘‘এ দিন ছিল শেষ পরীক্ষা। ব্যাগ, মোবাইল নিয়ে ঢুকতে গেলে কলেজ কর্তৃপক্ষ বাধা দেন। যার ফলে গন্ডগোল শুরু হয়।’’
হাজি এ কে খান কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা চন্দ্রাণী পাল বলেন, ‘‘প্রথম দিকে মোবাইল ব্যাগের মধ্যে রেখে হলের বাইরে করিডরে রাখতে দেওয়া হত। কিন্তু ছাত্রদের একাংশের অভব্যতার কারণে তা নিষেধ করা হয়েছে।’’ ছাত্রদের অন্যায় আব্দার কখনওই মানা যাবে না বলে জানিয়ে দেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
তবে আমতলা যতীন্দ্র রাজেন্দ্র মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা গীতালি বেরা বলেন, ‘‘বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ছাত্ররা যাতে পরবর্তীতে পরীক্ষাটি দিতে পারে তার জন্য বলা হয়েছে।’’
এ দিন গোলমালের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হরিহরপাড়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী, আসেন স্থানীয় বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যাল, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন। তাঁরা কথা বলেন কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পরীক্ষার্থীদের সাথে। তবে শেষ পর্যন্ত এ দিন পরীক্ষা না দিয়েই ফিরে যান পরীক্ষার্থীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy