Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Nadia

নীল আকাশের রবিবারেও বাজার মন্দা

উপচে পড়া ভিড় হওয়ার কথা সর্বত্র। কিন্তু কোথায় কী! একেবারে ফাঁকা দোকান না-হলেও পুজোর বাজার বলতে যা বোঝায় সেই ছবি অন্তত এখনও চোখে পড়ছে না।

নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব চিত্র।

দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় 
শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:০৩
Share: Save:

ঠিক এক সপ্তাহ টানা বৃষ্টি আর মেঘলা আকাশ পুজোর বাজারের উৎসাহে জল ঢেলেছিল। অবশেষে আশ্বিনের প্রথম দিন নীল আকাশ আর ঝলমলে রোদের দেখা মিলল বটে, কিন্তু বাজারে ভিড় ফিরল না। দিনটা রবিবার হওয়ায় ছুটির দিনের সঙ্গে ভাল আবহাওয়া মিলে কয়েক গুণ বেশি ব্যবসার আশা ছিল দোকানদারদের। কিন্তু আশাভঙ্গ হল তাঁদের।

পুজোর ১২ দিন আগের রবিবার। ফুটপাথের দোকান হোক বা অভিজাত বিপণী, শপিং মল, স্থানীয় হাটবাজার। উপচে পড়া ভিড় হওয়ার কথা সর্বত্র। কিন্তু কোথায় কী! একেবারে ফাঁকা দোকান না-হলেও পুজোর বাজার বলতে যা বোঝায় সেই ছবি অন্তত এখনও চোখে পড়ছে না।

তুলনায় কিছুটা ভিড় বেশি শপিং মলে। কৃষ্ণনগরের পোশাক ব্যবসায়ী সুব্রত সাহা বলছিলেন, ‘‘এই প্রথম পুজোর বাজার বলে কিছুটা মনে হচ্ছে। লোক জন আসছেন। আমরা এরই অপেক্ষায় ছিলাম। তবে এখনও তেমন ভিড় হয়নি। পুজো এগিয়ে এসেছে অনেকটা। মনে হয় মানুষ এ বার কেনাকাটা করবেন।”

চাকদহের ব্যবসায়ী সুজিত সাহা বা নবদ্বীপে প্রদীপ মজুমদার আবার এখনও আশা দেখছেন না। সুজিত বাবুর কথায়, “হাতে দু’-সপ্তাহ নেই। এই অবস্থায় আমাদের নাওয়া-খাওয়ার সময় পাওয়ার কথা নয়। ৭০ শতাংশ ব্যবসা হয়ে যাওয়ার কথা। এ বারে সেই জায়গায় মেরেকেটে ২৫ শতাংশ কেনাবেচা হয়েছে কিনা সন্দেহ। এখনও পাইকারের ঘরে ঠাসা মাল। অর্থাৎ, খুচরো দোকানে কেনাবেচা হচ্ছে না।”

নবদ্বীপের প্রদীপ মজুমদারের কথায়, “গোটা বাজার ঝিমোচ্ছে। গত বছরে বিধিনিষেধের মধ্যেও এর থেকে ভাল ব্যবসা হয়েছিল। এখন আমরা মহালয়ার দিকে তাকিয়ে আছি। যদি তার পর মানুষ বাজারমুখী হন।”

বাজার খারাপের কারণ হিসেবে অনেকগুলি বিষয় উঠে আসছে, প্রথমত, গত দু’বছরের অর্থনেতিক মন্দার ধাক্কা অনেকেই এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি। তার উপর রয়েছে মূল্যবৃদ্ধি। বেশির ভাগ মানুষের হাতে টাকা নেই। রোজকার চাল-ডাল- রান্নার গ্যাস, সরষের তেল কিনতে নাজেহাল তাঁরা। পুজোর বাজার নিয়ে ভাবার ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই। আবার যাঁদের টাকা আছে তাঁরা অনেকেই কেনাকাটা অনলাইনে সেরে ফেলছেন। দোকানে যাচ্ছেন না। অনেকে আবার সারা বছর ধরে একটু-একটু করে কিনে রাখছেন। বস্ত্র ব্যবসায়ী রাজেশ আগরওয়ালা বলেন, “মানুষের বাজেট কম। হাতে নগদ পয়সার ঘাটতি বোঝা যাচ্ছে। পাইকারেরা প্রচুর মাল মজুত করেছিলেন। কিন্তু মানুষের সাড়া নেই। ৩০-৪০ শতাংশ ক্রেতা আবার অনলাইনে কিনছেন।’’ নিজস্ব চিত্র

অন্য বিষয়গুলি:

Nadia Durga Puja Shopping Durga Puja 2022
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy