দুয়ারে সরকার শিবিরে ভাল সারা মিলেছ। — ফাইল চিত্র।
দুয়ারে সরকার শিবিরে ভাল সাড়া মিলল মুর্শিদাবাদে। শনিবার মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, ‘‘এ দিন জেলা জুড়ে ১ হাজার ২২৬ টি দুয়ারের সরকার শিবির খোলা হয়েছে। এদিন বেলা দুটো পর্যন্ত ৫৪ হাজার ১২৭ জন দুয়ারে সরকার শিবিরে সুযোগ সুবিধার জন্য আবেদন জানাতে বা অভিযোগ জানাতে এসেছেন।’’ তাঁর দাবি, ‘‘৩৩টি পরিষেবার বিষয়ে আবেদন করা হচ্ছে। বেলা দুটো পর্যন্ত জেলার ৫ হাজার মহিলা লক্ষ্ণীর ভান্ডারের জন্য আবেদন করেছেন। তাতে নতুন আবেদনকারী যেমন রয়েছে, তেমনই আগে আবেদন করেছিলেন কোনও কারণে পরিষেবা পাননি এমনও রয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য সাথী, কৃষকবন্ধুসহ সব কিছুতেই লোকজন আবেদন করছেন।’’
জেলা শাসক জানান, ১-১০ এপ্রিল পর্যন্ত জেলা জুড়ে ৭৪০০ টি শিবির করা হবে। আবার ১০-২০ এপ্রিল পর্যন্ত ওই সব জায়গায় পরিষেবা দেওয়ার জন্য শিবির করা হবে। দুয়ারে সরকার শিবিরে যে সব আবেদন আসবে সেগুলির সমাধান করে ১০-২০ এপ্রিল পরিষেবা তুলে দেওয়া হবে। এ বারে দুয়ারে সরকার শিবিরে ০-৫ বছরের শিশুদের আধার কার্ডও করা হচ্ছে। বাবা মায়ের আধার কার্ড থাকলে এবং মোবাইল নম্বর আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক থাকলে ০-৫ বছরের শিশুদের আধার কার্ড করা হচ্ছে। জেলাপ্রাশনের উদ্যোগে এদিন থেকে এলইডি ভ্যান ওই সব শিবিরে ঘুরছে। তাতে রাজ্যে সরকারের নানা প্রকল্পের কথা তুলে ধরা হচ্ছে।
সব থেকে বেশি আবেদন পত্র সংগ্রহ করা হয়েছে ‘বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা’ প্রকল্পে। ওই প্রকল্পে প্রথম দিন আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ৭৭ হাজার।
জানা গিয়েছে চলতি দফায় ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে ‘মেধাশ্রী’, ‘ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড’ ও ‘বাংলা কৃষি সেচ যোজনা’ নতুন ভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়া যারা ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত ও ‘ঐক্যশ্রী’ প্রকল্পের সহায়তা পায় না এমন ছাত্রছাত্রীরা ‘মেধাশ্রী’ প্রকল্পে জন্য আবেদন করতে পারবে। যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছর তাঁরা পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণের জন্য ‘ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড’ প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন।
তা ছাড়া কৃষি দফতরের ‘বাংলা কৃষি সেচ যোজনা’র আওতায় বিন্দু সেচ ও ফোয়ারা সেচের জন্য ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে আবেদন করতে পারবেন। প্রথম দিনে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, ‘স্বাস্থ্যসাথী’, ‘খাদ্যসাথী’, ‘বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা’ সহ অন্যান্য প্রকল্পে পরিষেবা নিতে উপভোক্তাদের ভিড় থাকলেও নতুন প্রকল্পগুলিতে উৎসাহ তেমন লক্ষ্য করা যায়নি।
বিভিন্ন বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে।
তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পঠনপাঠনের ব্যাঘাত না ঘটিয়ে শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের কর্তাদের।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) নির্মাল্য ঘরামি বলেন, ‘‘মূল শিবিরের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ শিবিরের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বুথে বুথে উপভোক্তারা দুয়ারে সরকার শিবিরের সহায়তা পাবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy