শিবের মাথায় জল ঢালতে যাওয়ার জন্য রবিবার বহরমপুর শহরের প্রতিটা ঘাটেই দেখা গেল পুণ্যার্থীদের ভিড়। কেউ জেলার কান্দি থেকে তো কেউ পাশের জেলা বীরভূম থেকে এসেও ভাগীরথীর জলে স্নান করে ঘটে অথবা প্লাস্টিকের জারে করে জল ভর্তি করে রওনা দিচ্ছে কোনও শিব মন্দিরের উদ্দেশে। জল নিয়ে বহরমপুর থেকে সাগরপাড়া পায়ে হেঁটে শহরের রাস্তা দিয়ে এগিয়ে চলছেন তাঁরা। বীরভূমের মহম্মদবাজার থেকে এসে বহরমপুরে ভাগীরথীর জল নিয়ে কলেশ্বর মন্দিরে যাচ্ছেন অনেকেই। তবে এর মধ্যে পুণ্যার্থীদের গাড়িতে দিব্যি বাজছে ডিজে, সাউন্ডবক্সে গান। চলছে হইহুল্লোড়। রয়েছে তরুণ, তরুণী সকলেই। পুলিশের কড়া নিষেধাজ্ঞাকে ফুৎকারে উড়িয়ে স্নানের ঘাটে ব্যাপক ভাবে বাজছে ডিজে, সাউন্ডবক্স। এ বিষয়ে এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘ডিজে বাজানোর কোনও অনুমতি নেই। আমরা নজরে রাখছি, যদি কাউকে দেখি তবে তাকে ধরা হবে।’’
বহরমপুরের হাতিনগর থেকে সাগরপাড়া শিব মন্দিরে জল ঢালতে যাচ্ছে দীপ প্রামাণিক। তিনি বলেন, ‘‘রাধারঘাটে স্নান করে জল নিয়ে সাগরপাড়া যাব জল ঢালতে।’’ পাড়ার পাঁচ জন এক সাথে সাগরপাড়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বলে দীপ জানান। বহরমপুর শহরের ইন্দ্রজিৎ দাস নামে এক পুণ্যার্থী বলেন, ‘‘ডিজে না থাকলে আনন্দই হবে না। ওটাই তো মজা।’’ বীরভূমের মহম্মদ বাজার থেকে এসেছেন সমীর দেহারি। তিনি বলেন, ‘‘বহরমপুরে কলেজ ঘাট থেকে জল নিয়ে আমরা কলেশ্বর মন্দিরে যাব। সেখানে শিবের মাথায় জল ঢেলে, আমরা আমাদের গ্রামের শিব মন্দিরেও জল ঢালতে যাব।’’ পুণ্যার্থীদের রাস্তায় ডিজে বাজিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘এতে সাধারণ মানুষের ভীষণ ক্ষতি হবে। যাঁরা হার্টের সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের অবশ্যই সমস্যা হবে।’’ ডিজে বাজার বিষয়ে অনেক পুণ্যার্থী আবার জানান, ডিজে ভক্তদের উৎসাহ দিচ্ছে।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, আজ, সোমবার কড়া নজর থাকবে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)