ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী ক্রমশ বাড়ছে। ফরাক্কার অর্জুনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। নিজস্ব চিত্র
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। যার জেরে চাহিদা বেড়েছে প্লেটলেটেরও। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক সূত্রের খবর, মাসখানেক আগেও যেখানে দৈনিক এক বা দুই ইউনিট প্লেটলেট লাগত। এখন সেখানে দৈনিক ২৫-৩০ ইউনিট প্লেটলেট লাগছে। যার জেরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের রক্তের চাহিদাও বেড়েছে। সেখানকার ব্লাড ব্যাঙ্ক সূত্রের খবর, রক্ত পৃথকীকরণ করে প্লেটলেট বের করা হয়। আর ফ্রিজে রাখা রক্তের প্লেটলেট বের করা হয় না। তাই বহরমপুর ও লাগোয়া এলাকায় রক্তদান শিবির করে রক্ত সংগ্রহের বিষয়টিতে আরও জোর দিয়েছে ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
তবে পুজোর রেশ এখনও কাটেনি। যার জেরে রক্তদান শিবির খুবই কম হচ্ছে। ফলে রক্তের আকাল দেখা দিযেছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের ব্লাড ব্যাঙ্কে। সূত্রের খবর, সোমবার একটি ছোট রক্তদান শিবির ছিল। কিন্তু সেখান থেকে মাত্র ৪০ ইউনিট রক্ত মিলেছে। আবার ১৫ অক্টোবরের আগে শিবির নেই। যার জেরে এমন চলতে থাকলে রক্তের পাশাপাশি প্লেটলেটেরও আকাল দেখা দেবে।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জয়ন্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘আগে মাঝে মধ্যে দুই-এক ইউনিট প্লেটলেট লাগত। কিন্তু ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় প্লেটলেটের চাহিদা বেড়েছে। এখন দৈনিক ২৫-৩০ ইউনিট প্লেটলেট লাগছে।’’ তিনি সকলকে রক্তদানে এগিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছিন।
যদিও মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ সান্যাল বলেন ‘‘ডেঙ্গির চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্লেটলেট দেওয়ার বিষয়টি এখন ততটা গুরূত্বপূর্ণ নয়। তবে প্রয়োজনে রোগীকে প্লেটলেট দেওয়া হচ্ছে।’’
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন প্লেট রক্ত তঞ্চনে সাহায্য করে। আর ডেঙ্গি হলে প্লেটলেট কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে প্লেটলেট কমে গেলে অনেক সময় রোগীর শরীরে প্লেটলেট দিতে হয়। ফলে ডেঙ্গির সময়ে প্লেটলেটের চাহিদা বৃদ্ধি হওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিক।
মুর্শিদাবাদ জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় লাফিয়ে লাফিয়ে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ অগস্ট পর্যন্ত জেলায় প্রায় ৫০০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিল। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০০০ জনে।
অক্টোবরের ১০ তারিখ পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫১২ জনে। এই তথ্য বলছে, দৈনিক গড়ে ৫০ জন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। যার জেরে চিন্তায় স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। ইতিমধ্যে জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা প্রশাসনের তরফে জেলাজুড়ে বাসিন্দাদের সচেতন করা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় শিবির করে রক্ত পরীক্ষা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। জ্বর হলে দ্রুত সরকারি হাসপাতালে গিয়ে রক্ত পরীক্ষা করানোর কথা বলা হচ্ছে। মশারি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy