প্রতীকী ছবি।
নদীর পাড় ঘেঁষে বড়সড় ফাটল। আর সেই এলাকা দিয়ে অনেকটাই মাটি ধসে গিয়েছে। যার জেরে ফের ভাঙনে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে শান্তিপুর ব্লকের বিহারিয়া মঠপাড়া এলাকায়। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
শান্তিপুর ব্লকের বেলগড়িয়া ২ পঞ্চায়েতের বিহারিয়া মঠপাড়া এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই ভাঙনের আতঙ্ক নিয়েই বাস করছেন। সম্প্রতি বার কয়েক ভাঙনের জেরে এই এলাকায় ভাগীরথীতে তলিয়ে গিয়েছে একটি মন্দির, ইটভাটার চিমনি, গাছ, চাষের জমি। ভাগীরথীর কাছেই রয়েছে জনবসতি। ক্রমশ ভাঙনের জেরে নদী যে ভাবে এগিয়ে আসছে তাতে আগামী দিনে বিপদের আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। তাঁরা জানান, এই এলাকায় ভাঙনের ঘটনা নতুন নয়। বহু বছর ধরেই এই এলাকায় ভাঙনের ঘটনা ঘটছে। তবে সম্প্রতি এখানে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। বছর খানেকের মধ্যে বেশ কয়েক বিঘা জমি চলে গিয়েছে ভাগীরথীর গ্রাসে। গত বছরেই পুজোর আগে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধও করেন বাসিন্দারা। মাঝে এক সময়ে বালির বস্তা দিয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু করে সেচ দফতর। তবে তাতে ফল কিছু মেলেনি। বিহারিয়া মঠপাড়া এলাকায় ভাঙন বন্ধ হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেল থেকেই বিহারিয়া এলাকায় ভাগীরথীর পাড়ে চওড়া ফাটল দেখতে পান গ্রামবাসীরা। ক্রমে সেই ফাটল বৃদ্ধি পেতে থাকে। টানা কয়েক মিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে সেই ফাটল। ফাটল বরাবর ভাগীরথীর পাড়ের এলাকার মাটি বসে যায়। আর এতে ফের এই এলাকায় ভাঙনের আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা।স্থানীয় বাসিন্দা অলোক বিশ্বাস বলেন, “আমাদের এলাকায় বারবার ভাঙনের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু প্রশাসনের তরফে সে ভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে না। এখানে ভাঙন রোধে স্থায়ী ভাবে কাজ করার দরকার। না হলে আগামী দিনে আমাদের ভিটে ছাড়া হতে হবে।”
স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় যে ভাবে ভাঙনের ঘটনা ঘটছে তাতে প্রশাসনের তরফে দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে তাঁদের ভিটে ছেড়ে যেতে হবে। তবুও তাঁদের কথা কেউই ভাবছে না।
স্থানীয় বেলগড়িয়া ২ পঞ্চায়েতের প্রধান দীপক মণ্ডল বলেন, “প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে বিষয়টি নিয়ে। তারা এলাকায় ভাঙন রোধে প্রকল্প শুরু করবে।” সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাঙন কবলিত এলাকায় প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে। দ্রুত কাজ শুরুর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy