পুরপ্রধানের ঘরের সামনে ধর্না। নিজস্ব চিত্র
গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মূলত শাসকদল তৃণমূলেরই নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠছিল। এবার সেই তালিকায় নাম যুক্ত হল সিপিএমেরও। কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল জঙ্গিপুর পুরসভার এক সিপিএম কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। শুক্রবার জঙ্গিপুরের পুরপ্রধানের ঘরের সামনে দীর্ঘক্ষণ ধর্নায় বসেন কয়েকজন অভিযোগকারী। পরে পুরপ্রধানের দফতরে তাঁরা লিখিত অভিযোগও জমা দেন।
সিপিএমের যে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ, সেই মেরি হাজরা পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি। অভিযোগকারীদের অন্যতম মালতী হাজরা এদিন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় তিন কিস্তিতে তিন লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা পাওয়ার জন্য আমার নাম বিবেচিত হয়েছিল। প্রথম কিস্তির টাকা পেলে বাড়ি তৈরি শুরু হয়। পরে হঠাৎই সমস্ত কিস্তির টাকা আটকে যায়। কাউন্সিলর মেরি হাজরার কাছে গেলে তিনি ২৫ হাজার টাকা নিজের জন্য এবং তিন হাজার টাকা পুরসভায় প্ল্যান পাশ করার জন্য দাবি করেন। প্রথমে রাজি না থাকলেও পরে ওই টাকা দিতে বাধ্য হই। আমার বাড়ি তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কাটমানি ফেরত দিতে বলেছেন। তাই আমার টাকা ফেরত চাই।’’ বৃদ্ধা দুলালী হালদারের অভিযোগ, “আমার কাছ থেকেও একই ভাবে ২৮ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। আমি কাউন্সিলরের কাছে গেলে তিনি আমাকে হুমকি দেন। টাকাও ফেরত দেননি। পুরসভায় আজ লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি।’’
জঙ্গিপুরের পুরপ্রধান, তৃণমূলের মোজাহারুল ইসলাম শুক্রবার কলকাতায় ছিলেন। ফোনে তিনি বলেন, ‘‘ওই সিপিএম কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় প্রায় ১০টি পরিবারের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগপত্র জমা পড়েছে বলেও শুনলাম। জঙ্গিপুরে ফিরে অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলব। তারপরই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’ যদিও টাকা নেওয়া-সহ সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন মেরি। এদিন তিনি বলেন “কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যে। কারও উস্কানিতে ষড়যন্ত্র করেই এসব কথা বলা হচ্ছে। টাকা নিইনি। তাই ফেরতের প্রশ্ন ওঠে না। যেখানে খুশি অভিযোগ জানাক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy