Advertisement
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
Murshidabad CPIM

বেশি সদস্য নিয়ে জেলা সম্মেলনে বাম

২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে সিপিএমে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। ভোটব্যাঙ্কে ব্যাপক ভাবে ধস নামে।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:০১
Share: Save:

নির্বাচনের ময়দানে রক্তক্ষরণ অব্যাহত থাকলেও সিপিএমের সদস্যপদ গ্রহণে উল্টো ছবি দেখা গিয়েছে। গত বারের তুলনায় কয়েকশো বেশি সদস্য নিয়ে এ বার জেলা সম্মেলন করতে চলেছে সিপিএম। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের অবস্থান অমান্য করে বিভিন্ন পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের সময় বিজেপি ও তৃণমূলকে সমর্থন করায় বেশ কয়েক জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার বাইরে বয়স ছাড়াও অন্যান্য কারণে অনেকে সদস্যপদ নবীকরণ করাননি। তার পরেও গত জেলা সম্মেলনের তুলনায় এ বার সদস্য সংখ্যা বেশি।

সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন প্রজন্মের মধ্যে সিপিএমের সদস্য পদ গ্রহণের ক্ষেত্রে বেশি উৎসাহ দেখা গিয়েছে। ফলে এরিয়া কমিটির মতো জেলা কমিটিতেও তরুণ প্রজন্মের গুরুত্ব ও সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকি, সম্মেলনের আয়োজনের ক্ষেত্রেও তরুণ প্রজন্মের উপরেই ভরসা রাখছেন সিপিএমের নেতারা।

২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে সিপিএমে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। ভোটব্যাঙ্কে ব্যাপক ভাবে ধস নামে। যত দিন গিয়েছে গোটা রাজ্যের মতো নদিয়া জেলাতেও সিপিএমের ভোট তলানিতে ঠেকেছে। গত পঞ্চায়েত ভোটে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় বামেরা। তবে লোকসভা ভোটে ফের ভরাডুবি। রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিশেষ কোনও পরিবর্তন না-হলে ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে সিপিএম বিরাট কিছু করে ফেলতে পারবে বলে বিশ্বাস করেন না খোদ সিপিএম সমর্থকরাই। এই পরিস্থিতিতে এ বারের জেলা সম্মেলন বামেদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন দলের নেতারা।

বাম নেতাদের দাবি, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বামেদের গ্রহণযোগ্যতা ফিরতে শুরু করেছে। ২০২১ সালে জেলা সম্মেলনের সময় সিপিএমের সদস্য সংখ্যা ছিল সাত হাজার পঞ্চাশ জন। এ বছর তা বেড়ে হয়েছে সাত হাজার চারশো জন। এর মধ্যে আবার দল বিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কার ও নবীকরণ না-করা নিয়ে সংখ্যাটা প্রায় দেড়শো জনের মতো। অর্থাং নতুন সদস্য সংখ্যা প্রায় পাঁচশো জন।

তবে এ প্রশ্নও উঠছে, সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক আছে কি না। উত্তরে দলেরই জেলা কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত সরাসরি কোনও সম্পর্ক খুঁজতে গেলে হবে না। সদস্য বাড়ছে মানে মানুষের ভরসা কিছুটা হলেও ফিরে পাওয়া যাচ্ছে। আর সেটা পুরোপুরি ফিরে না আসা পর্যন্ত ভোটের বাক্সে তেমন কোনও প্রভাব পড়বে না।” আর তাই, এ বারের জেলা সম্মেলনের দিকে তাকিয়ে আছেন সিপিএমের কর্মী-সমর্থকরা। কারণ এই সম্মেলনেই তৈরি হবে ভোটের রণকৌশল। দলের সেনাপতি কে হবেন সেটাও ঠিক হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

CPIM
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy