শোক। নিজস্ব চিত্র
পুলিশ চাইলে সব কিছু বের করতে পারবে। কিন্তু আমাদের মনে হচ্ছে পুলিশ কিছু আড়াল করতে চাইছে। নিউটাউনে পথ দুর্ঘটনায় মৃত আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাকিল আহমেদের বাবা আব্দুস সামাদ বুধবার দুপুরে এমনই দাবি করলেন। সেই সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের কেউ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তিনি বলেন, ‘‘শুনেছি মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল। তাই এমন ঘটনা। আমি চাই পুলিশ প্রশাসন ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুক।’’ বুধবার দুপুরে এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যর নেতৃত্বে ডিওয়াইএফ এবং এসএফআইয়ের এক প্রতিনিধিদল দৌলতাবাদের ধনাইপুরে শাকিলের বাড়িতে আসেন।
তাঁরা শাকিলের বাবা, মা ও পরিবারের অন্যদের সঙ্গে কথা বলেন। ওই প্রতিনিধিদলকে পরিবার দাবি জানায়, একটি গাড়ি অন্যায় ভাবে শাকিলকে ধাক্কা মারে। অথচ সেই গাড়ির মালিক, গাড়ির চালকের কথা প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না। তাঁরা চান, ঘাতক গাড়িটিকে এবং তার মালিককে চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে।
গ্রামের লোকজন সিপিএমের ছাত্র যুব। সংগঠনের প্রতিনিধি দলকে বলেন, শাকিলের বাবার আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। তাই তাঁর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের দাবি জানানো হয়।এদিন এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এই সরকার অসংবেদনশীল। নিউটাউনে কার্যত শাকিলকে গাড়ি চাপা দিয়ে খুন করা হয়েছে। আমরা চাই ঘাতক গাড়িটি এবং গাড়ির মালিক, চালক কে রয়েছে তা প্রকাশ্যে আনুক পুলিশ। মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার পাশাপাশি পরিবারের এক জনের কর্ম সংস্থানের সুযোগ দিতে হবে। আমরা এই দাবিতে সারা বাংলা জুড়ে আন্দোলন করব।’’
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি ভীষ্মদেব কর্মকার বলেন, ‘‘এমন মেধাবী ছাত্রের অকাল প্রয়াণে আমরা মর্মাহত। মৃতের পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছি। পুলিশ প্রশাসন ঘটনার তদন্ত করছে। ইতিমধ্যে একজন গ্রেফতার হয়েছে। গাড়ি আটক হয়েছে। আমাদের স্থানীয় নেতৃত্ব এবং পঞ্চায়েতের কর্মকর্তারা যেমন তাঁদের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তেমনই পুলিশ প্রশাসনের লোকজনও নিশ্চয় তাঁদের বাড়ি গিয়েছিলেন। এসএফ আই রাজনীতি করতে সেখানে গিয়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy