—প্রতীকী চিত্র।
সব আসনে জোট হলে জেলা পরিষদের আরও ২০টি আসন পেতে পারত বাম-কংগ্রেস জোট। সদ্য প্রকাশিত জেলা পরিষদের আসন ভিত্তিক ফলাফলে এই চিত্র উঠে এসেছে। ওই ২০টি আসনে তৃণমূল প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। কিন্তু সেখানে বাম ও কংগ্রেসের প্রাপ্ত মিলিত ভোট তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীদের থেকে অনেক বেশি। তবে যে ৭টি আসনে বাম, কংগ্রেসের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন তার মধ্যে দু’টি আসনে সমঝোতা হয়েছিল। বাকি পাঁচটিতে বাম ও কংগ্রেসের প্রার্থী ছিল।
ফরাক্কার জেলা পরিষদের এক ও তিন নম্বর আসন, সুতি ২ ব্লকের জেলা পরিষদের ৭ নম্বর আসন, সুতি ১ ব্লকের জেলা পরিষদের ১০ নম্বর আসন, লালগোলা ব্লকের ১৯ নম্বর আসন, ভগবানগোলা ১ ব্লকে জেলা পরিষদের ২৫, ২৬, ও ২৭ নম্বর আসন, ভগবানগোলা ২ ব্লকের জেলা পরিষদের ৩০ নম্বর আসন, রানিনগর ১ ব্লকের জেলা পরিষদের ৩৩ নম্বর আসন, রানিনগর ২ ব্লকে জেলা পরিষদের ৩৬ নম্বর আসন, ডোমকলের জেলা পরিষদের ৩৭ ও ৩৮ নম্বর আসন, বহরমপুরে জেলা পরিষদের ৪৮ নম্বর আসন, বড়ঞার জেলা পরিষদের ৫২ ও ৫৩ নম্বর জেলা পরিষদের আসন, নওদার ৭৩ নম্বর আসন, জলঙ্গির জেলা পরিষদের ৭৬ এবং ৭৮ নম্বর আসনে তৃণমূল প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। এই সব আসনে বাম ও কংগ্রেসের মিলিত ভোট তৃণমূলের থেকে বেশি।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, ‘‘দুই শক্তি এক জায়গায় হলে তো আরও ফল ভাল হওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল। আমরা জেলা পরিষদের পনেরোটা জায়গায় সমঝোতা করতে পেরেছিলাম। তবে নির্বিঘ্নে ভোট হলে জেলা পরিষদ বাম কংগ্রেসের দখলে আসত।’’
প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা বহরমপুরের প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বামেদের সঙ্গে আমাদের জোট হয়েছিল। কিন্তু ভোট হয়নি। মানুষকে তৃণমূল ভোট দিতে দেয়নি। ভোট হলে ওরা জেলা থেকে ধুয়ে মুছে সাফ হয় যেত।’’ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাম কংগ্রেস তৃণমূলকে রাজ্য থেকে সরাবে।’’ যা শুনে বহরমপুর মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের সভাপতি শাওনি সিংহরায় বলেন, ‘‘ভোটে হারার পরে নানা মত বের করছে। ওদের তো কেউ জোট-ঘোট করতে নিষেধ করেনি, জোট-ঘোট করেওছিল। তার পরেও হেরেছে। এখন সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy