Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪

পরীক্ষার পথে মৃত্যু দম্পতির

লালবাগ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বরুণ বৈদ্য বলেন, ‘‘একটি গাড়ির ধাক্কায় মোটারবাইক আরোহী স্বামী-স্ত্রী’র মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ ওই ট্রাকটির খোঁজ করার চেষ্টা করছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।’’ ওই দম্পতি নবগ্রামের সিঙ্গারের বাসিন্দা। বছর দশেক আগে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। বছর আটেকের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে তাঁদের।

টুটুল ও প্রভাতী দাস। ফাইল চিত্র

টুটুল ও প্রভাতী দাস। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
নবগ্রাম শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৯ ০২:২৭
Share: Save:

স্ত্রীর বিএড পরীক্ষা। সিট পড়েছিল বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে, আইড়া গ্রামে। মোটারবাইকে স্ত্রী প্রভাতীকে (৩০) নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানেই রওনা দিয়েছিলেন টুটুল দাস (৩৫)। নবগ্রামের মহলৌর কাছে একটি ট্রাককে পাশ কাটাতে গিয়ে উল্টো দিক থেকে আসা অন্য একটি গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যান স্বামী-স্ত্রী। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ট্রাকটিকে পাশ কাটাতে গিয়েই বিপত্তি ঘটে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁরা ছুটন্ত গাড়ির মুখে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই মারা যান দু’জনে।

লালবাগ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বরুণ বৈদ্য বলেন, ‘‘একটি গাড়ির ধাক্কায় মোটারবাইক আরোহী স্বামী-স্ত্রী’র মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ ওই ট্রাকটির খোঁজ করার চেষ্টা করছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।’’ ওই দম্পতি নবগ্রামের সিঙ্গারের বাসিন্দা। বছর দশেক আগে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। বছর আটেকের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে তাঁদের।

ওই যুবকের বাবা জনার্দ্দন দাসের নবগ্রাম মোড়ে পরিচিত একটি কাপড়ের দোকান রয়েছে। সে দোকান টুটুল ও তাঁর অন্য দুই ভাই দেখাশোনা করেন। বছর দুয়েক আগে নবগ্রামের একটি বেসরকারি বিএড কলেজে ভর্তি হন প্রভাতী। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে তিনি ছিলেন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। বৃহস্পতিবার বিএড পরীক্ষা ছিল। এ দিন সেখানেই পাড়ি দিয়েছিলেন তাঁরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে যাওয়ার সময়ে একটি ট্রাককে পাশ কাটাতে যান ওই যুবক। এই সময়ে উল্টো দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি গাড়ির মুখোমুখি পড়ে যান তাঁরা। ধাক্কায় ছিটকে পড়েন দু’জনেই। আশপাশের গ্রাম থেকে লোকজন ছুটে আসেন। তাঁরাই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ব্যবস্থা করেন। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরবাইক থেকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান দু’জনেই। খবর যায় নবগ্রাম থানায়। পুলিশ এসে দেহ নিয়ে যায় ময়নাতদন্তের জন্য।

টুটুলের ভাই মিলন বলেন, ‘‘কিছুই বুঝতে পারছি না, বাড়ি গিয়ে ভাইঝিটাকে কি বলব!’’ জর্নাদ্দন বলছেন, ‘‘বৌমার পরীক্ষা থাকলে ছেলেই নিয়ে যেত। এ দিনও ‘আসছি’ বলে বেরলো, কিন্তু আর কি ফিরবে ওরা!’’

অন্য বিষয়গুলি:

Couple Dead Accident
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy