ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখা হয়েছে যুগলকে। —নিজস্ব চিত্র।
মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর এলাকার এক বাসিন্দার বাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরেই রমরমিয়ে চলছে দেহব্যবসা। এই অভিযোগে মঙ্গলবার দুপুরে ওই বাড়িটিকে ঘিরে ফেলেন স্থানীয় মানুষজন। অভিযোগ, বাড়ি ঘিরে তল্লাশি চালাতে হাতেনাতে পাকড়াও হয় এক যুগল। প্রাথমিক ভাবে তাঁরা নিজেদের বারিক পরিবারের আত্মীয় বলে পরিচয় দিলেও তাঁদের কথায় একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এর পর তাঁদের পরিচয়পত্র মিলিয়ে দেখে চলে বেধড়ক মারধর।
মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শিবু বারিকের বাড়ি থেকে ওই যুগলকে পাকড়াও করেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে শিবুর বাড়িতে চলছে দেহব্যবসা। সেখান থেকে এক যুগলকে ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়েরা। এলাকার বাসিন্দা ইলা মণ্ডলের দাবি, ‘‘সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র এবং আধার কার্ড মেলাতেই ফাঁস হয় তাঁদের কীর্তি। হাতেনাতে পাকড়াও হন যুবক।’’
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকের বাড়ি মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে। চাপের মুখে পড়ে দেহব্যবসার কথা কার্যত স্বীকারও করে নেন তিনি। তার পরেই ওই যুগলকে ধরে এলাকার একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বেঁধে রাখে উত্তেজিত জনতা। তাঁদেরকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাড়ির মালিক ডলি বারিক। তাঁর দাবি, ‘‘শত্রুতার জেরেই স্থানীয় কিছু মানুষ পরিকল্পিত ভাবে আমার সম্মানহানি করার জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’’
উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। বাড়ির মালিক-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় থানায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy