—প্রতীকী ছবি
যাঁদের পাকা বাড়ি নেই, তাঁদের বাসস্থানের জন্যই কেন্দ্র সরকার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় ঘর দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু সেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর দেওয়ার ক্ষেত্রে এ বার দুর্নীতির অভিযোগ উঠল নাকাশিপাড়া ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত মাঝেরগ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘর পাওয়ার যোগ্য যাঁরা, তাঁদের বঞ্চিত করে পাকা বাড়ির মালিকদের ঘর পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে নাকাশিপাড়ার বিডিও-র কাছে অভিযোগ করেছেন আকন্দডাঙা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল গফফর সেখ।
অভিযোগে জানানো হয়েছে, আকন্দডাঙা গ্রামে অনেকেরই পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও পঞ্চায়েতের ওই এলাকার পঞ্চায়েতের সদস্য ও পঞ্চায়েত প্রধানের যোগসাজশে অসাধু ভাবে তাঁদের ঘর পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্য দিকে, ওই গ্রামে যাঁদের কাঁচা বাড়ি এবং যাঁরা ঘর পাওয়ার যোগ্য তাঁরা ঘর পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। গফফর সেখ বলেন, ‘‘যাঁদের পাকা ঘর পাওয়ার কথা, তাঁরা কেন পাবেন না? এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিক প্রশাসন।’’
অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রামে মিরাজ মল্লিকের বাড়ি গেলে দেখা যায় ওই ব্যক্তির একতলা পাকা ছাদের ইটের তৈরি বাড়ি। মিরাজ বলেন, ‘‘এখনও টাকা পাইনি। তবে পাকা ঘর থাকা সত্ত্বেও সবাই তো পাচ্ছে, আমি পাব না কেন?’’
আর এক বাসিন্দা হবিবুর মল্লিকের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, তাঁরও বাড়ি পাকা ইটের তৈরি। তাঁর স্ত্রী নাজমুল মল্লিক বলেন, ‘‘এটা আমার শ্বশুরের বাড়ি, আমরা অন্য জায়গায় ঘর বানাব।’’ অথচ, ওই গ্রামের অনেকেই কাঁচা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও ঘর পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। এমনই এক বাসিন্দা মাতু মল্লিক বলেন, ‘‘আমি গরিব মানুষ। আমার ঘরের প্রয়োজন আছে। কিন্তু আমি ঘর পাচ্ছি না।’’
এই বিষয়ে মাঝেরগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঝুমারানি বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমার কাছে এই বিষয়ে কোনও তথ্য নেই।’’
নাকাশিপাড়ার বিডিও কল্লোল বিশ্বাস বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। সম্ভবত টাকা আটকে রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও বিষয়টি তদন্ত করে
দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy