প্রতীকী ছবি।
আচমকা তাঁদের অস্তিত্বের কথা জানা গিয়েছে। তাঁরা অর্থাৎ ২ জন করোনা-আক্রান্ত মানুষ! মঙ্গলবার জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই দু’জনের নাম দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন। উঠেছে অনেক প্রশ্নও।
ফের করোনাভাইরাস পাওয়া যায় কল্যাণীর জেএনএমে ভর্তি থাকা কাঁচরাপাড়ার বাসিন্দা এক মহিলার শরীরে। স্বাস্থ্য দফতরে থেকে জেলায় করোনা আক্রান্তের তালিকায় এত দিন এই সাত জনের কথাই জানানো হচ্ছিল। মঙ্গলবার সেখানে আচমকা আট জনের কথা বলে হয়। এবং সেই তালিকায় বাদ পড়েছেন কাঁচরাপাড়ার বাসিন্দা মহিলা। সেই জায়গায় করিমপুর-১ ও চাকদহ এলাকার দু’জনের কথা বলা হয়েছে। এঁদের কথা আগে কখনও শোনা যায়নি।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয় যে, মার্চে করিমপুরের এক ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কল্যাণীর গাঁধী হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখান থেকে তাঁকে কলকাতার আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানে সপ্তাহ খানেক পরে তাঁর জ্বর আসে। লালারসের নমুনা পরীক্ষার করোনা রিপোর্ট পজেটিভ ধরা পড়ে। বর্তমানে সুস্থ হয়ে তিনি বাড়িতে ফিরে এসেছেন। গত এপ্রিল মাসে আক্রান্ত হন চাকদহের এক বসিন্দা। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি আরজিকর মেডিক্যাল কলেজেই ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান হিসাবে কর্মরত ছিলেন। সেখানে কর্তব্যরত অবস্থায় তাঁর শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। তিনিও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন। কেন এত দিন তাঁদের জেলার পজেটিভ রোগীদের তালিকায় রাখা হয়নি? কেন হঠাৎ তাঁদের নাম ঢুকিয়ে কাঁচরাপাড়ার মহিলার নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হল? জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই দু’জনের বাড়ি এই জেলায় হলেও তাঁরা এখানে সংক্রমিত হননি এবং চিকিৎসাও এই জেলায় হয়নি। তাই জেলার তালিকায় তাঁদের নাম ছিল না।” সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘‘কাঁচরাপাড়ার মহিলার চিকিৎসা এই জেলায় হলেও তিনি এই জেলাতে সংক্রমিত হননি বলে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy